বরগুনায় রাসেল (২৫) নামে এক যুবকের লাশ নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন তাঁর বাবা। রাসেলের বাবার দাবি ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার চান। গত সোমবার সকালে বরগুনা সদর থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুপুরে লাশ দাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে গেছেন স্বজনেরা।
এর আগে গত শনিবার ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় মৃত্যু হয় রাসেলের। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে রাসেলের মামাতো ভাই রিয়াজের কাছে লাশ হস্তান্তর করে কামরাঙ্গীরচর চর থানা-পুলিশ।
নিহত রাসেল বরগুনা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলাতলা গ্রামের মো. ফারুকের ছেলে। সে ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। কামরাঙ্গীরচর এলাকায় মামা জালালের ভাড়া বাসায় স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করতেন।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাসেল কামরাঙ্গীরচর এলাকায় মামা জালালের ভাড়া বাসায় স্ত্রী রুমি বেগমের (১৯) সঙ্গে বসবাস করতেন। সেখানে গত শনিবার রাতে রাসেলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাসেলের মামাতো ভাই রিয়াজ কামরাঙ্গীরচর থানায় রাসেলের স্ত্রী ও কাইয়ুম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগের জেরে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা করেন। মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নিহত রাসেলের স্ত্রী রুমি বেগম ও কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করে এবং লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বাদী রিয়াজের কাছে হস্তান্তর করে।
নিহতের বাবা ফারুক বলেন, আমার ছেলেকে সম্পত্তির জন্য খুন করেছে রিয়াজ। এখন পরকীয়ার অভিযোগ দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে পালিয়েছে। আমি এ ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, যেহেতু লাশের ময়নাতদন্ত আগেই হয়েছে তাই আর নতুন করে ময়নাতদন্ত করা হয়নি। তা ছাড়া মামলাটি কামরাঙ্গীরচর থানায় তদন্তাধীন তাই লাশ দাফনের জন্য পরিবারকে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।