নিখোঁজের চার দিন পর মাটি খুঁড়ে আব্দুর রশিদ (৭০) নামে এক বৃদ্ধের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে মুক্তাগাছা থানা–পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে তালাবদ্ধ শোয়ার ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মুক্তাগাছা শহরের মাঝিপাড়া এলাকায়।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের নাতি মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ও তাঁর স্ত্রী রিনা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মুক্তাগাছা থানায় মামলা হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শহরের মাঝিপাড়া এলাকার বাসিন্দা কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ রোববার সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর কোনো ছেলে সন্তান না থাকায় মেয়েরাই তাঁকে দেখাশুনা করেন। বড় মেয়ে হেনা আক্তার বাবার সঙ্গেই থাকেন। হেনা আক্তারের স্বামী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। তিনি একটি ক্লিনিকে চাকরি করেন। ওই দিন কাজ শেষে রাতে বাসায় ফিরে বাবাকে বাড়িতে পাননি। বাবার শোয়ার ঘরে একটি নতুন তালা ঝোলানো দেখেন।
আব্দুর রশিদের দ্বিতীয় মেয়ে বিনা আক্তারের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু মাঝেমধ্যে তাঁর নানার সঙ্গে ঘুমাতেন। ওই দিনের পর থেকে তাঁকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেন। কোথাও পাওয়া যায়নি তাঁকে। বৃহস্পতিবার রাতে তালাবদ্ধ শোয়ার ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে বড় মেয়ে হেনা আক্তার অন্য বোনদের খবর দেন। তাঁরা তালা ভেঙে দেখেন ঘরের ভেতরে গর্তের ওপর মাটি ভরাট করা ও সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। পরে থানা–পুলিশ মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে।
আব্দুর রশিদের বড় মেয়ে হেনা আক্তার বলেন, তাঁর বাবার সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা ছিল না। তাঁর বাবাকে পরিকল্পিতভাবে কে বা কারা হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছিল। তিনি তাঁর বাবা হত্যার বিচার দাবি করেন।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মাটি খুঁড়ে আব্দুর রশিদের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তাঁর নাতি ও নাতি বউকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’