ঢাকার ধামরাইয়ে বয়স্ক ভাতা পাওয়া ফুল খাতুন বেগম (৮৫) নামের এক বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে নতুন করে ফুলবানু নামের অন্য এক নারীকে ভাতার কার্ড দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ফুল খাতুন বেগম যাদবপুর ইউনিয়নের গরুগ্রাম এলাকার প্রয়াত আব্দুল গফুরের স্ত্রী। তিনি পাঁচ বছর ধরে বয়স্ক ভাতার টাকা পেয়ে আসছিলেন। যাদবপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলাল দেওয়ানের সুপারিশে তাঁর কার্ড করে দেওয়া হয়। বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজুর সময়েও তিনি ভাতার টাকা পেয়ে আসছিলেন। প্রতি তিন মাস পরপর তিনি দেড় হাজার করে টাকা পেতেন; কিন্তু হঠাৎ করে টাকা আসা বন্ধ হলে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে খোঁজ নেন তিনি। এ সময় ফুল খাতুন বেগমকে জানানো হয়, তাঁকে মৃত দেখিয়ে তাঁর ভাতার কার্ড বাতিল করা হয়েছে। তাঁর পরিবর্তে ফুলবানু নামের এক বৃদ্ধ নারীকে কার্ড করে দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী ফুল খাতুন বেগম বলেন, ‘প্রতিবারই আমি টাকা পেয়েছি; কিন্তু এবার টাকা না পাওয়ায় উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারি আমাকে মৃত দেখিয়ে ফুলবানু নামের অন্য আরেকজনকে ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান।’
এ বিষয়ে যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি না। আমি কিছুই জানি না। আপনারা যা পারেন তাই করেন গা।’
যাদবপুর ইউপির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু বলেন, বিষয়টি প্রমাণিত হলে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হাসান বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।