হোম > ছাপা সংস্করণ

ওমিক্রন ঠেকাতে দেশগুলোকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান

সম্প্রতি শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা, ভয়াবহতা ইত্যাদি নিয়ে এখনো কোনো কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই নতুন ধরন নিয়ে দেশে দেশে নতুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বা কড়াকড়ি আরোপ করেছে।

এ অবস্থায় আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা ও টিকাদান বাড়াতে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিদ্যমান নির্দেশনা মেনে চলতে আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক ডা. ক্যাকেশি ক্যাসাই। ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা থেকে গতকাল শুক্রবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ভাইরাসের বিস্তার হয়তো বিলম্বিত করবে। কিন্তু ওমিক্রনের বিস্তার

ঠেকানো যাবে না। তাই সময় নষ্ট না করে প্রত্যেক দেশের নতুন ঢেউ মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। তবে এখনো পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে আপাতত বিদ্যমান নির্দেশনা মেনে চললেই হবে।’

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ইতিমধ্যে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পর্যাপ্ত টিকা এবং এপ্রিল-জুনে ডেলটায় প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়ে যাওয়ায়, ওমিক্রন ভারতে তেমন বিক্রম দেখাতে পারবে না বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

নতুন এ ধরন নিয়ে যে সব দেশ সবচেয়ে বেশি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে তার মধ্যে চীন সম্ভবত অন্যতম। কারণ ফেব্রুয়ারিতেই দেশটিতে শীতকালীন অলিম্পিক শুরুর কথা। ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের প্রস্তুতি বাড়ানো হয়েছে বলে গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আগামী সোমবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে বিদেশিদের একদিনের মধ্যে করা করোনার পরীক্ষার নেগেটিভ ফলাফল দেখাতে হবে। গত বৃহস্পতিবার ঘোষিত নতুন বিধিনিষেধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ কথা জানান। যারা টিকা নেয়নি, তাদের জন্য বিধিনিষেধ কঠোর করেছে জার্মানি। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ বুষ্টার ডোজ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটের (এনআইসিডি) তথ্যমতে, আক্রান্ত হয়ে যাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে, ওমিক্রন তা এড়িয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া যাদের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, তাদের এ ধরনের সংক্রমণ ক্ষমতা পূর্ববর্তী যেকোনো ধরনের চেয়ে তিন গুন বেশি। নতুন ধরন নিজেদের চতুর্থ ঢেউয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে গতকাল মন্তব্য করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ফাহলা।

গার্ডিয়ান জানায়, ইউরোপে আগামী কয়েক মাসে যারা নতুন করে করোনা আক্রান্ত হবেন, তাদের অর্ধেকের বেশি হবেন ওমিক্রনে। তবে এ ধরনের বিরুদ্ধে বিদ্যমান টিকাই সবচেয়ে কার্যকর। ডব্লিউএইচওর তথ্যমতে, বিশ্বে এ পর্যন্ত প্রায় ২৬ কোটি ৪০ মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে অর্ধকোটির বেশি মানুষের। ধরন শনাক্ত হয়েছে ১৩টি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ