চট্টগ্রামের বেসরকারি ডিপো মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডার) মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং বিকডার মধ্যে চিঠি চালাচালি চলছে। এ পর্যন্ত ৮ বার চিঠি চালাচালি হয়েছে তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে।
গত ৮ অক্টোবর পাঁচ ধরনের সেবার ওপর ২৩ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি করে বিকডা, যা ৪ অক্টোবর থেকে কার্যকর বলে সার্কুলার দেয় সংগঠনটি। এ নিয়ে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মতানৈক্য দেখা দেয় ডিপো মালিকদের। শুরু হয় চিঠি চালাচালি।
বিকডার মাশুল বাড়ানো অযৌক্তিক ও নিয়ম-বহির্ভূত জানিয়ে ১০ নভেম্বর বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম একটি চিঠি দেন। এতে মাশুল বাড়ানোর ফলে পোশাকশিল্পে নানা সমস্যা পড়বে বলে উল্লেখ করা হয়। সেই সঙ্গে মাশুল না বাড়াতে বিকডার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিকডা থেকে তিন পৃষ্ঠার ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়। এর পর অযৌক্তিক বর্ধিত মাশুল বন্ধ করার জন্য গত বুধবার বিকডাকে আবার চিঠি দেয় বিজিএমইএ। এতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ট্যারিফ কমিটির অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত বর্ধিত মাশুল স্থগিত রাখার আহ্বান জানানো হয়।
একই দিনে মাশুল বৃদ্ধি অযৌক্তিক জানিয়ে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও বিকডাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এক তরফাভাবে মাশুল বাড়ানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এতে। বেসরকারি ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডার মহাসচিব মো. রুহুল আমিন সিকদার জানান, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের একটি চিঠি পেয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএর মতো তাদেরও চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইয়েদ মো. আরিফ বলেন, ‘বিকডা কোনো পক্ষের সঙ্গে আলাপ না করেই হঠাৎ ২৩ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি করে। আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন ডিপোর চুক্তি আছে। মাশুল বাড়াতে হলে মন্ত্রণালয় থেকে তা অনুমোদিত হতে হবে।