চলচ্চিত্র সম্পর্কে আগ্রহ আছে, আর চার্লি চ্যাপলিনকে চিনবেন না, এমন মানুষ আছেন খুব কম। চার্লি চ্যাপলিন ছিলেন হিটলারের চেয়ে চার দিনের বড়। তিনি ছিলেন ১৬৫ সেন্টিমিটার উচ্চতার আর তাঁর ওজন ছিল ৬০ কিলোগ্রাম।
নীল চোখ আর কোঁকড়ানো চুল ছিল তাঁর। কিন্তু ৩৫ বছর বয়সেই চুলে পাক ধরেছিল। বাঁ হাতি ছিলেন তিনি। বেহালাও বাজাতেন বাঁহাতে। যখন তিনি কোটিপতি, তখনো একটি তৃতীয় শ্রেণির হোটেলে থেকেছেন দীর্ঘদিন।
কমিউনিস্টদের ব্যাপারে চার্লি চ্যাপলিনের একটা দুর্বলতা ছিল। ‘মডার্ন টাইমস’ সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা চ্যাপলিনের দিকে রাখলেন তীক্ষ্ণ নজর। যুক্তরাষ্ট্রেই তিনি ছিলেন ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত, কিন্তু সে দেশের নাগরিকত্ব পাননি। শুধু কি তা-ই! ১৯৫২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছিল তাঁর ওপর।
চ্যাপলিন ভালোবাসতেন বক্সিং, নাচের মধ্যে ট্যাঙ্গো ছিল প্রিয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যখন ‘রাশিয়াকে সাহায্য করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হলো, তখন এক র্যালিতে চার্লি চ্যাপলিন তাঁর বক্তৃতা শুরু করেছিলেন ‘কমরেডস’ বলে। তাতে সন্দেহ করা হয়, তিনি বুঝি কমিউনিস্ট হয়ে গেছেন।
‘দ্য গ্রেট ডিক্টেটর’ ছবিটি তৈরি করার পর সেন্সরে ঝামেলা হবে বলে চার্লি চ্যাপলিনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। তারপর বলা হয়েছিল, ছবিটা যেন যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যে মুক্তি দেওয়া না হয়। জার্মানি যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করে বসল, তখন ‘উপরমহল’ অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে খুব একটা চাপ দিল না। কিন্তু দর্শকেরা দিল হুমকি। যদি এই ছবি সিনেমা হলে চলে, তাহলে সেই হলে বোমা বিস্ফোরিত হবে, পর্দায় চলবে গুলি।
তারপরও যখন ছবিটি মুক্তি পেল, তখন জার্মানি প্রচারণা চালাল, ‘চ্যাপলিন ইহুদি’। এবার বলি মূল কথা। ২০০১ সালে ‘দ্য ট্রাম্প অ্যান্ড দ্য ডিক্টেটর’ ডকুফিল্মে একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘দ্য গ্রেট ডিক্টেটর’ ছবিটি হিটলারের কাছে পাঠানো হয়েছিল এবং তিনি তা দেখেওছিলেন।
সূত্র: ই-ফাক্ত ডট রু