আর মাত্র দুই দিন পর তেরখাদা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণা। বিএনপি ইউপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় এবার আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নিজেই।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ইতিমধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ দুই দফায় ১৫ জন বিদ্রোহী প্রার্থী ও ৩০ জন সমর্থকসহ মোট ৪৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দুই দফায় বহিষ্কারের পরও আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থামেনি। দলীয় প্রার্থীদের পরাজিত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের।
আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ ও মনোনীত প্রার্থী সম্পর্কে কটূক্তি করায় তাঁকে উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তা ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকসহ দুই দফায় ৪৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তাতেও থামেনি দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। রাতের আঁধারে, মোবাইলে ও আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জেতাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন অনেকেই। আবার প্রকাশ্যে নৌকার ব্যাজ লাগিয়ে ঘুরলেও গোপনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নিশ্চয় তেরখাদার মানুষ নৌকা প্রতীকে ভোট দেবে। আর যারা নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তাঁদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে। ইতিমধ্যে ৪৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’