মৃত ব্যক্তির প্রতি প্রতিবেশীর একান্ত দায়িত্ব হলো তাঁর জানাজায় উপস্থিত হওয়া। এ দায়িত্ব পালনে কেউ জানাজায় অংশ নিলে তার জন্য রয়েছে দুনিয়া-আখিরাতের পুরস্কার। জানাজায় উপস্থিত হয়ে মানুষ যখন মৃত ব্যক্তিকে দেখে, তখন তা তাকে অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে সহায়তা করে।
ইসলামের দৃষ্টিতে জানাজা ও দাফন-কাফন সম্পাদন করা জীবিত মুসলমানদের জন্য ফরজে কেফায়া অর্থাৎ কিছুসংখ্যক মুসলমান এ দায়িত্ব পালন করলে অন্যরা দায়মুক্ত হবে; যদিও এলাকার সব লোক ও আত্মীয়স্বজনের দায়িত্ব হলো, মৃত ব্যক্তির জানাজা ও দাফন-কাফনে অংশগ্রহণ করা এবং তাঁর স্বজনদের সান্ত্বনা দেওয়া।
মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মৃত মুসলিম ব্যক্তির জানাজায় আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে সওয়াবের আশায় অংশ নেয় এবং জানাজা ও দাফন শেষ হওয়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকে, ওই ব্যক্তি দুই কিরাত নেকি পাবে। আর প্রতি কিরাত হচ্ছে ওহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজা আদায় করে দাফনের পূর্বে ফিরে যাবে, সে এক কিরাত নেকি নিয়ে বাড়ি ফিরবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘একজন মুসলমানের প্রতি অন্য মুসলমানের ছয়টি কর্তব্য রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো কোনো মুসলমান মারা গেলে তাঁর জানাজায় অংশ নেওয়া। (মুসলিম) ইসলাম মৃত মানুষের মর্যাদাও সমুন্নত রেখেছে এবং জানাজায় অংশগ্রহণ করে তার সপক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার আদেশ দিয়েছে। এমনকি প্রকাশ্য পাপাচারী মুসলমান মৃত্যুবরণ করলেও তাঁর জানাজা পড়তে হবে। বেনামাজি, ঋণগ্রস্ত কিংবা আত্মহত্যাকারীর জানাজা আদায় করা জরুরি।
ড. মো. শাহজাহান কবীর, চেয়ারম্যান, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি