পটুয়াখালীর বাউফলে মো. কাওসার হোসেন (৪০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আলিপুরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
কাওসার হোসেন উপজেলায় সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা গেছে, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাওসার হোসেন মোটরসাইকেলযোগে দশমিনা যাওয়ার সময় অলিপুরা বাজারে পৌঁছালে চেয়ারম্যান জাহিদুলের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেল নিয়ে কাওসারের গতিরোধ করেন। একপর্যায়ে চেয়ারম্যানের ভাগনে মো. হাসান (২৬), মেহেদী (২৫), সবুজ সিকদার (৩৪) ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন কাওসার হোসেনকে মারধর করেন।
আহত কাওসার হোসেন বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি বাউফল সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়। নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিনকে সমর্থন করলে তখন থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের মো. জাহিদুল ইসলাম। নির্বাচনে জাহিদুল জয়ী হওয়ার পড় থেকে কাওসারকে চেয়ারম্যানের লোকজন হুমকি দিয়ে আসছে। শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চেয়ারম্যান লোক পাঠিয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে হুমকি দেয়। হুমকি দেওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে অলিপুরা বাজারে চেয়ারম্যান উপস্থিতিতে তাঁর নির্দেশে আমার ওপর হামলা করা হয়।
বাউফল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলাম এ সময় কাওসার বাজে মন্তব্য করে। আমার সঙ্গে থাকা লোকজন তাঁকে কয়েকটি চর থাপ্পড় মারে। পরে আমার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।’
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে