কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে শামসুন্নাহার নামের এক নারীকে কুপিয়ে জখম, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের নূরুল মিল্লাতের ছেলে ইশতিয়াক ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার দুপুরে কুলিয়ারচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। গত মঙ্গলবার উপজেলার আশ্রবপুর এলাকায় শামসুন্নাহারকে মারধর, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। শামসুন্নাহার স্থানীয় পত্রিকার এজেন্ট হারুনুর রশিদের মেয়ে। অন্যদিকে নুরুল মিল্লাত বলছেন, এ ঘটনার সঙ্গে তাঁর ছেলে জড়িত নয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল মিল্লাতের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি কেনেন শামসুন্নাহারের স্বামী ফারুক মিয়া (৪৮)। দলিলে জমির সামনে ৮ ফুট রাস্তা উল্লেখ থাকলেও সেখান থেকে ৪ ফুট রাস্তা অন্যের কাছে বিক্রি করে দেন নূরুল মিল্লাত। এ ঘটনার জের ধরে গত মঙ্গলবার মিল্লাতের ছেলে ইশতিয়াক লোকজন পাঠিয়ে ফারুক মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় শামসুন্নাহারকে কুপিয়ে জখম করা হয়। হামলাকারীদের ফারুক মিয়াও লাঞ্ছিত হন।
এ নিয়ে শাসুন্নাহার বলেন, বাড়িঘর ভাঙচুরের প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ছাড়া বাড়িঘর ভাঙচুরসহ তাঁর ঘরে থাকা নগদ ৮০ হাজার টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৪টি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এতে তাঁর আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ নিয়ে মোবাইল ফোনে জানতে ইশতিয়াককে কল করা হয়। কিন্তু মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।
ইশতিয়াকের বাবা নূরুল মিল্লাত বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে তা ন্যক্কারজনক। তবে আমার ছেলে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।