কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার আব্দুল লতিফ সরকারকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চেয়েছেন তাঁর স্ত্রী-সন্তানেরা। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারাও জানিছেন তিনি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
আব্দুল লতিফের বাড়ি চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতারমারী গ্রামে। তিনি ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করার ইচ্ছা থেকে তিনি পার্শ্ববর্তী রৌমারীতে গিয়ে যুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে এসএসসি পাশ করে আব্দুল লতিফ ১৯৮৫ সালে ঢাকার সেনানিবাসে এমইএসএ পদে যোগ দেন।
প্রয়াত আব্দুল লতিফের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (রুবী) বলেন, ‘আমার স্বামী মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের আওতায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর স্বীকৃতি স্বরূপ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত জাতীয় তালিকায় (জামুকা) তাঁর নাম লিপিবদ্ধ আছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমার স্বামী জীবিকা নির্বাহের তাগিদে সেনা বাহিনীর এমইএসএ সেক্টর চাকরি নেন এবং দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে চাকরি করার কারণে সরকার কর্তৃক প্রকাশিত মুক্তিবার্তা ও চূড়ান্ত গেজেট তালিকাভুক্ত হতে পারেননি।’
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চিলমারী উপজেলা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. মোজাফ্ফর আহম্মেদ বলেন, ‘প্রয়াত আব্দুল লতিফ সরকার একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় থেকে তাঁকে আমি চিনি।’ একই কথা বলেন তৎকালীন রৌমারী হাইস্কুল ক্যাম্পের প্রশিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী।
আব্দুল লতিফ সহযোদ্ধা হিসেবে ছিলেন মর্মে বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা খতিব উদ্দিনসহ আরও অনেকে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।