মধুপুরের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুই বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে নিয়ে বিপাকে আওয়ামী লীগ। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মী সক্রিয়ভাবে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।
বিদ্রোহীদের দল থেকে বহিষ্কার করেও নির্বাচন থেকে সরানো যায়নি। ফলে নৌকার প্রার্থীরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। ইতিমধ্যেই উভয় পক্ষের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
আগামীকাল টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার তিন ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মির্জাবাড়ী ইউপিতে আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ান।
তবে বাকি দুই ইউপিতে বিদ্রোহীরা নির্বাচন করায় নৌকার প্রার্থীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। আলোকদিয়া ইউপিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু সাঈদ তালুকদার দুলাল। বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা আবু সাঈদ খান সিদ্দিক আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তাঁর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের অনেক নেতা–কর্মীও প্রচারে অংশ নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় ১১ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারও করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে স্বতন্ত্র মো. রেজাউল ইসলাম বোরহান চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে ছিলেন মমিনুল হক মুকুল। নির্বাচনের তিন দিন আগে নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়ান। এ ছাড়া এই ইউপিতে সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী ১২ ও সাধারণ সদস্য প্রার্থী ৪১ জন।
গোলাবাড়ী ইউপিতে নৌকার মাঝি গোলাম মোস্তফা খান বাবলু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবুর ছোট ভাই। অপর দিকে জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মজিবর রহমান আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তিনি মধুপুর পৌর আওয়ামী লীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি।
মির্জাবাড়ী ইউপিতে নৌকার প্রার্থী সাদিকুল ইসলাম শুরুতে যতটা ঝুঁকিতে ছিলেন, শেষ মুহূর্তে ততটাই নির্ভার হয়েছেন। শক্তিশালী প্রার্থী আজহারুল ইসলাম আওয়ামী লীগ নেতাদের সমঝোতায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।