নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ বাইপাস সড়কের সংস্কারকাজ শেষ হতে না হতেই উঠে গেছে কার্পেটিং। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সড়কে চলাচলকারী মানুষ ও যানবাহন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়কটি সংস্কারের সময় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ‘সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সড়কের নির্মাণকাজ করা হয়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। আর কেনইবা এমন হলো আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
জানা যায়, উপজেলা প্রকৌশল অফিস ২০২১-২২ অর্থবছরে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ছিটরাজিব বগুড়া ক্যানেলের ব্রিজ থেকে ছকির বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ৯৯ লাখ ৩ হাজার ৭৪২ টাকার দরপত্র আহ্বান করে। এতে কাজটি পায় নীলফামারী শহরের উকিলের মোড়ের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং এক সপ্তাহ আগে সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। কিন্তু সংস্কার করা মুশা সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকের ঝাল্টুর মোড় থেকে কাশেমের বাজার পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানের কার্পেটিং উঠে গেছে।
এ সময় স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, ঠিকাদার সড়কটির কার্পেটিং করার সময় পুরোনো ইট খোয়া ও নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করেন। এ ছাড়া সড়কটি সংস্কারের সময় সঠিকভাবে রেলিং মজবুত না করে তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করেন। ফলে সপ্তাহ না যেতে কার্পেটিং উঠে আগের মতো খানাখন্দের সৃষ্টি হয়।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, সড়ক নির্মাণকাজে সোলডার প্রোটেকশনের জন্য সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ না থাকা এবং অতিরিক্ত লোডের গাড়ি চলার কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে বলে জানান তিনি।