ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলতে এই মুহূর্তে দুবাইয়ে বাংলাদেশ অলরাউন্ডার রুমানা আহমেদ। আজ তাঁর ম্যাচ আছে জাহানারাদের বিপক্ষে। এবার টুর্নামেন্ট নিয়ে ব্যস্ততা থাকায় ঈদের আনন্দ অনেকটাই ফিকে হয়েছে তাঁর। গতকাল সকালে আজকের পত্রিকাকে রুমানা জানান, দুবাইয়ে ঈদের দিনটা কেটেছে অনুশীলন করে। বাইরে যাওয়ার সময়ই ছিল না। ঈদের আনন্দে পূর্ণতা না পেলেও তাঁর ভাবনাজুড়ে এখন নতুন চ্যালেঞ্জ।
নিউজিল্যান্ডে হওয়া সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপটা ভালো যায়নি রুমানার। নিজের পারফরম্যান্সে নিজেই হতাশ বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। দুবাইয়ে যাওয়ার আগে রুমানা বলছিলেন, ‘বিশ্বকাপে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে খুবই হতাশ। ব্যাটিংয়ে তো ভালো হয়ইনি, বোলার হিসেবেও ভালো করতে পারিনি।’
বিশ্বকাপের ৭ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ৬১ রান আর বোলিংয়ে ৫ উইকেট পেয়েছেন রুমানা। সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ২১ রানের। এমন মলিন পারফরম্যান্সের পর নিজেকে নতুন করে ফিরে পাওয়ার চ্যালেঞ্জ রুমানার সামনে। সেটি তিনি নিচ্ছেনও। বলেন, ‘বিশ্বকাপে দুর্বলতা কাটিয়ে উন্নতি করতে কাজ করছি। সামনের খেলাগুলোয় যেন ভালো করতে পারি। সে লক্ষ্যেই এগোচ্ছি।’
বিশ্বকাপে ভালো করতে না পারলেও প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেটের ‘ফিফটি’ পূর্ণ করেছেন। তবে রুমানা চাইছেন দ্রুত বোলিং-ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে। ব্যাটিং-বোলিংয়ে উন্নতি করতে ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম দরকার। অবশ্যই জাতীয় দলই নারী ক্রিকেটারদের সেরা প্ল্যাটফর্ম। তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ, সিরিজ, টুর্নামেন্ট কম থাকায় মেয়েদের নিয়মিত খেলার সুযোগ কম। এ ক্ষেত্রে দুবাইয়ের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট অনেক বড় সুযোগ, মনে করেন রুমানা। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে রুমানা জানান সর্বশেষ বিশ্বকাপ তাঁদের ভাবনা কতটা বদলে দিয়েছে, ‘এ টুর্নামেন্টের (বিশ্বকাপ) পর আমাদের ভাবনা অনেকটা বদলেছে। যত বেশি ম্যাচ খেলব, তত বেশি অভিজ্ঞ হব। আমরা যারা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশ নিচ্ছি, শুধু ফেয়ারব্রেক নয়, আইপিএল, বিগ ব্যাশ—এসব টুর্নামেন্টে যখন আমরা যাব, নিজেদের আরও অভিজ্ঞ করে গড়ে তুলতে পারব।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট নিয়ে রুমানা নিজের ভাবনা আরও পরিষ্কার করেছেন এভাবে, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে বিশ্বসেরা ক্রিকেটাররা খেলে। তাদের সঙ্গে অনুশীলন করা, ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করা, একসঙ্গে খেলা, এটা অন্য রকম অভিজ্ঞতা। এ ধরনের অভিজ্ঞতা জাতীয় দলেও কাজে লাগবে।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের স্পষ্ট প্রভাব আছে বর্তমান ছেলেদের ক্রিকেটে। যদিও বাংলাদেশ থেকে কম ক্রিকেটারই খেলার সুযোগ পান বিশ্বের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয়। এ ধরনের টুর্নামেন্টে ধীরে ধীরে খেলতে শুরু করেছেন বাংলাদেশের মেয়েরাও। তবে এখনো পর্যন্ত এটি সালমা, জাহানারা, রুমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সামনে বাংলাদেশের আরও বেশি খেলোয়াড় দেশের বাইরে লিগে খেলার সুযোগ পাবেন, এটিই প্রত্যাশা রুমানার।