নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজিতে নিয়ম না মেনে সড়কের পাশে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেনের উদ্যোগে বসানো হয়েছে মেলা। তবে এ নেতার দাবি প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এই মেলা বসানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালু হাজি রোড এলাকায় ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন সড়কের দুই পাশের জায়গায় ও সড়ক দখল করে প্রায় ৫০টি দোকানঘর করে মেলা বসিয়েছেন। এই মেলার পাশেই খোলা একটি মাঠে রয়েছে ইলেকট্রিক দোলনা।
মেলার একাধিক দোকানি বলেন, গত শুক্রবার থেকে মেলা শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ চাইলে এই মেলা চলবে এক মাস পর্যন্ত। দোকানপ্রতি কত টাকা চাঁদা দিতে হয়—জানতে চাইলে এক কসমেটিকস দোকানি জানান, দোকান ভাড়া ও বাতি বাবদ ৩০০ টাকা করে দিতে হয় মেলার আয়োজকদের।
তবে স্থানীয় এক ব্যক্তির অভিযোগ, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেন অবৈধভাবে এলাকায় মেলা বসিয়েছেন। সন্ধ্যার পর থেকেই এখানে কিশোর গ্যাং ও মাদকসেবীদের আড্ডা জমে। মেলায় আগতদের কোনো নিরাপত্তা নেই। তাঁর দাবি মেলার বিষয়ে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক ব্যক্তি জানান, এটা একটি ব্যস্ততম রাস্তা। আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেন তাঁর ক্ষমতা দেখিয়ে রাস্তা দখল করে এভাবে মেলা বসাতে পারেন না। এখানে মেলা বসানোয় সন্ধ্যার পর থেকেই অনেক উঠতি বয়সের ছেলেমেয়ে আসে। সেখানে মেয়েদের ইভটিজিং করা হয়। সম্মানের ভয়ে অনেকে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা ফেলে মেলায় চলে আসে।
যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে অনুমতি নিয়েই এই মেলা বসিয়েছি। পুলিশ এই মেলার বিষয়ে অবগত আছে।’ থানা থেকে কোনো লিখিত অনুমতি দিয়েছে কি না জানতে চাইলে মৌখিক অনুমতি নিয়েছি বলে ফোন কেটে দেন তিনি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘পুলিশের কাছে এসব মেলার কোনো অনুমোদন নেই। আমি ঘটনাস্থলে এখনই টিম পাঠাচ্ছি। পুলিশের নাম ভাঙিয়ে কেউ অপকর্ম করলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’