মিঠাপুকুরে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত খয়াড়বাড়ি সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এতে করে দুর্ভোগে থাকা ১০ গ্রামের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এখন তাঁদের চাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে নির্মাণকাজ শেষ হয়।
উপজেলার মিলনপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ঘ্রিনাই নদীর খয়াড়বাড়ি ঘাটে সেতুটি হচ্ছে। স্থানীয় সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমান গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে ৭২ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৪ কোটি টাকা। এটি বাস্তবায়ন হলে মিঠাপুকুর ও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ১০ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের যাতায়াত সহজ হবে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
মিলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম চৌধুরী জানান, খয়াড়বাড়ি ঘাটে সেতু না থাকায় মিঠাপুকুরের সাতানি রাঘবেন্দ্রপুর, জগন্নাথপুর, দুর্গাপুর ও মিলনপুর এবং নবাবগঞ্জের রাঘবেন্দ্রপুর, খামার, পাঠানগঞ্জ ও বিনোদনগরসহ ১০ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষকে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতুটি নির্মিত হলে দুই উপজেলার মানুষের যাতায়াতে বিরাজমান দুর্ভোগ লাঘব হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান জানান, নির্বাচিত ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুতগতিতে কাজ শেষ করার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ আশিকুর রহমান। তিনি জানান, শেখ হাসিনা উন্নয়নের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সরকারের আমলে বিদ্যুৎ, শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে বিগত কোনো সরকারের আমলে তার সিকি ভাগও হয়নি।
সাংসদ বলেন, দেশে নদী ও খালবিল খনন করা হচ্ছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। গাইবান্ধা থেকে মিঠাপুকুর হয়ে দিনাজপুর পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের নির্মাণকাজ চলছে।
আশিকুর রহমানের মতে, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে আবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করতে হবে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমাতুজ জোহরা আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে আরও বক্তব্য দেন নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম, রেডক্রিসেন্ট রংপুরের সহসভাপতি রেহানা আশিকুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য রাশেক রহমান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টু মিয়া।