কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে শীত বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন বাড়ছে নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়ার রোগী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ দিনে শীত মৌসুমের এসব রোগে আক্রান্ত ৫৫৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৪৭৫ জন এবং ডায়রিয়া নিয়ে ৮৩ জন রোগী। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক মানুষ।
সরেজমিন গত মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, বহির্বিভাগে রোগীদের লম্বা সারি। এ সময় কথা হয় কয়েকজনের সঙ্গে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সন্তানের চিকিৎসা নিতে আসা নাদিরা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলেটার হঠাৎ সর্দি-কাশি দেখা দেয়। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্টও শুরু হয়। তাই চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। চিকিৎসা নেওয়ার পর বাচ্চাটা এখন কিছুটা সুস্থ।’
তানিছা তাবাচ্ছুম নামের দুই বছরের শিশুকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছেন মা রাহেলা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আমার বাচ্চাটা শুধু কান্না করে। কিছুই খেতে চায় না। বাচ্চার ঠান্ডা ও কাশি আছে, বুকে শব্দ হয়। এ জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য এসেছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাঝ বয়সী লোক বলেন, ‘শীত আইলেই শ্বাস টান বাইড়া যায়। এইবারও বাড়ছে। তাই হাসপাতালে আইছি।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওমর খসরু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এ সময় সবাইকে গরম কাপড় পরিধানসহ শরীর উষ্ণ রাখার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি এখনো যারা করোনা টিকা গ্রহণ করেনি, তাদের দ্রুত টিকা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’