শেষ হয়েও যেন শেষ হচ্ছে না বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচন। থামছে না নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলোচনা ও বিতর্ক। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী জায়েদ খানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তার। সেই অভিযোগ আমলে না নিয়ে উল্টো চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন জায়েদ খান।
একই নোটিশ পাঠিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আপিল বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেনকেও। ব্যারিস্টার মুজিবুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এ আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বৃহস্পতিবার।
গত ২৯ জানুয়ারির পর আপিল বোর্ডের কার্যক্রম অবৈধ উল্লেখ করে জায়েদ খান বলেন, ‘একটি মেয়াদোত্তীর্ণ সংস্থা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে, যার কোনো আইনগত ভিত্তিও নেই। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টার পর থেকে আপিল বোর্ড মৃত। আপিল বোর্ড আপত্তি নিষ্পত্তি করেছে এবং নিপুণ পরাজয় মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করে চলে গেছেন।’
তবে নিপুণ বলেন, ‘আমি নির্বাচনের পরের দিন স্বাক্ষর করেছিলাম একটা বিষয়ের ওপর ভিক্তি করে, এটা ঠিক আছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনারের কাছে আরও যে অভিযোগগুলো করেছিলাম সেসব নিয়ে তিনি কিছুই করেননি। সেই কারণে আবার আপিল বোর্ডের মাধ্যমে অভিযোগ করেছি।’
জায়েদের নোটিশ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘আমার হাতে একটি আইনি নোটিশ এসেছে। এটা নির্বাচনকে নিয়েই। এখন আমাকে দেখে বুঝতে হবে আসলে কী বলা হয়েছে এতে।’
আজ শনিবার বিকেল ৪টায় শিল্পী সমিতির অফিসে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকতে অভিযোগকারী নিপুণ, অভিযুক্ত জায়েদ খান ও চুন্নু, দুই নির্বাচন কমিশনার জাহিদ হোসেন, বি এইচ নিশান, শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে চিঠি দিয়েছে আপিল বোর্ড।
বৈঠক শেষে এ জটিলতার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানান আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। তিনি বলেন, ‘নিপুণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সঠিক দিকনির্দেশনার জন্য বিষয়টি জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিই। মন্ত্রণালয় বিষয়টি আমলে নেয়। প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে মতামত জানানোর নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। তাই দুই পক্ষকেই আজ হাজির হতে বলেছি। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে আমি মতামত জানাব।’