হোম > ছাপা সংস্করণ

লোকবল-সংকট কাটছে

ফেনী প্রতিনিধি

দীর্ঘ অচলাবস্থার পর খানিকটা প্রাণ পেয়েছে ফেনীর ট্রমা সেন্টার। ইতিমধ্যে হাসপাতালে পাঁচজন চিকিৎসক, পাঁচজন নার্স ও একজন ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো জনবল ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ঘাটতির কারণে পুরোপুরি কার্যকর হয়নি সেন্টারটি। এখানে সব সেবা মিললে জেলা সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ কমে আসত বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা গেছে, সড়কে দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০০৬ সালে ২০ শয্যার ট্রমা সেন্টারটি নির্মাণ করে গণপূর্ত বিভাগ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণার পরও প্রয়োজনীয় লোকবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না স্থানীয়রা।

সরেজমিন দেখা যায়, তিনতলা ভবনবিশিষ্ট ট্রমা সেন্টারের নিচতলায় করোনার টিকাদান চলছে। দ্বিতীয় তলায় চলছে বহির্বিভাগের কার্যক্রম। সেখানে খাতায় নাম লেখার পর রোগীদের সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা এস এম সাইফুল আলম জানান, সেন্টারে সাধারণত ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্তরাই আসে। হাড় ভাঙা ও দুর্ঘটনায় আক্রান্ত কেউ এলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে জটিল পরিস্থিতি দেখলে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বহির্বিভাগে সাধারণ রোগীদের জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে কিছু ওষুধ দেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে আবাসনের ব্যবস্থা নেই।’

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছরের শুরুতে দেশের হাসপাতালগুলোতে নতুন করে জনবল নিয়োগ দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। আগে একজন মেডিকেল কর্মকর্তা দিয়ে ফেনী ট্রমা সেন্টারের কার্যক্রম চলত। বর্তমানে এ সেন্টারে একজন অর্থোপেডিক কনসালট্যান্ট, একজন অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট, একজন আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা, দুজন মেডিকেল অফিসার ও একজন ফার্মাসিস্ট কর্মরত আছে। তারপরও লোকবল ঘাটতি রয়েছে।

ট্রমা সেন্টারে আটটি নার্স পদের বিপরীতে আছে পাঁচজন। এ ছাড়া মেডিকেল টেকনোলজি, মেডিকেল টেকনোলজি (রেডিওগ্রাফার), অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, আয়া, গাড়িচালক, সুইপার, কুক, ওয়ার্ডবয় ও নিরাপত্তাপ্রহরীর পদে কোনো নিয়োগ নেই।

এদিকে দীর্ঘদিন লোকবল না থাকায় ট্রমা সেন্টারের আইসিইউ, সিসিইউসহ এক্স-রে, ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাফি, অপারেশন থিয়েটার ও জেনারেটরসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নষ্ট। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স ও পানি বরাদ্দের নেই ব্যবস্থা।

জেলা সিভিল সার্জন রফিক উস সালেহিন বলেন, ট্রমা সেন্টারটি জনগুরুত্বপূর্ণ, তাই পুরোদমে সচল হওয়া প্রয়োজন। হাসপাতালের ১৯টি পদের বিপরীতে ১১ জন নিয়োজিত আছে। বর্তমানে বিশেষজ্ঞ ধারা বহির্বিভাগ সেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে।

ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী এ বিষয়ে বলেন, জেলা সদর হাসপাতালে প্রচুর রোগীর চাপ থাকে। তাই ট্রমা সেন্টারের বহির্বিভাগসহ পর্যায়ক্রমে আন্তবিভাগীয় বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুরোদমে চালানোর চেষ্টা করা হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ