পাঁচ মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে আসছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। ‘পাঠান’-এর পর এবার মুক্তি পাচ্ছে শাহরুখের ‘জওয়ান’। তবে এবার দৃশ্যপট ভিন্ন। বিশ্বজুড়ে মুক্তির প্রায় পাঁচ মাস পরে দেশে এসেছিল পাঠান।
কিন্তু জওয়ান আসছে একই সময়ে। জওয়ানের মুক্তির তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর, পরদিন (৮ সেপ্টেম্বর) মুক্তি পাবে সিয়াম-মিম-সুমন অভিনীত বাংলাদেশের সিনেমা ‘অন্তর্জাল’। শাহরুখ খানের মতো বড় তারকার সিনেমার সঙ্গে লড়াই করতে হবে জেনেও আত্মবিশ্বাসী অন্তর্জাল নির্মাতা দীপংকর দীপন। জানালেন, তিনি ভয় পাচ্ছেন না।
অন্তর্জাল প্রথমে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল কোরবানির ঈদে। এরপর কয়েক দফা পিছিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত করা হয়। একই দিনে দেশে জওয়ান মুক্তির বিষয়টি জানার পর অনেকে মনে করছিলেন, আবারও হয়তো পিছিয়ে যাবে অন্তর্জাল। তবে নির্মাতা নির্ধারিত তারিখেই সিনেমাটি মুক্তি দিতে প্রস্তুত। জওয়ান নিয়ে কোনো রকম দুশ্চিন্তা করছেন না তিনি।
দীপন বলছেন, ‘হিন্দি সিনেমার ভয়ে কি আমরা সিনেমা বানানো বন্ধ করে দেব, এটা তো কখনো বাঙালি শেখেনি। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সব ক্ষেত্রেই প্রতিযোগিতা চলে এসেছে। তাহলে সিনেমায় আমরা কেন ভয় পাব? এ ধরনের প্রতিযোগিতা ভালো কনটেন্ট নির্মাণ করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।’
দীপংকর দীপনের আশা, বলিউডের জওয়ানের চেয়ে এ দেশের দর্শক অন্তর্জালকেই প্রাধান্য দেবে। দীপন বলেন, ‘অন্তর্জাল যেভাবে নির্মিত হয়েছে, তাতে আমি আত্মবিশ্বাসী। এখানে আমাদের ভালোবাসা আছে, শ্রম আছে, সব মিলিয়ে এখানে একটা বাংলাদেশ আছে।
অন্তর্জাল ছাড়াও ৮ সেপ্টেম্বর মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে আরও দুটি সিনেমার। একটি মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘দুঃসাহসী খোকা’, অন্যটি দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘সুজন মাঝি’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কিশোর বেলার কাহিনি নিয়ে সরকারি অনুদানে নির্মিত হয়েছে দুঃসাহসী খোকা। এতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌম্য জ্যোতি।
অন্যদিকে সুজন মাঝি নির্মিত হয়েছে গ্রামীণ পটভূমিতে। এতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস আহমেদ ও নিপুণ আক্তার।