চৈত্র মাসে যে ডাল জাতীয় শস্য ঘরে ওঠার কথা তা সম্ভব হয়নি । কয়েকবার বৃষ্টি হওয়াতে ফসলের ক্ষতির ফলে পাইকারি বাজরে এই সংকট তৈরি হয়েছে, বলছেন ব্যবসায়ীরা। রমজান মাস সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা দেশি শস্যের চাহিদা মেটাতে বিপাকে পড়েছেন।
মাগুরা নতুন বাজার হাট এলাকার পাইকার ব্যবসায়ীরা জানান, কার্তিক, অগ্রহায়ণ মাসে মূলত চৈতালি ফসল লাগানোর সময়। যা এই গরমের সময় বাজারে আসতে শুরু হয়। কিন্তু সেই সময় বেশ কয়েকবার বৃষ্টিতে প্রচুর পরিমাণে এসব শস্যের মাঠ নষ্ট হয়ে যায়। এরপরও অনেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
সদরের নতুন বাজারে রয়েছে ভুসি মালের ব্যবসায়ীদের পাইকারি দোকান। বেশির দোকানে এখনো গত মৌসুমের পাট পড়ে রয়েছে। পাটের দাম কমে যাওয়ায় তারা এটা বিক্রি করতে পারছেন না। তাই পুঁজির অভাবে নতুন ফসলে বিনিয়োগে মূলধন সংকট রয়েছে।
মাগুরা আঠারখাদা ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের কৃষক শ্রীমন্ত মজুমদার জানান, সরিষা কিছুটা উঠেছে। কিন্তু দানা ভালো হয়নি। বিক্রি করতে পারছি না। এখানে পাইকাররা বলছে দানা ভালো হয়নি তাই তারা এটা কিনলে বিক্রি করতে পারবেন না। তবু ঘুরছি, কেউ যদি কেনে!
নতুন বাজার এলাকায় শস্য বিক্রি করতে আসা কিছু কৃষক জানান, এই ফাল্গুন মাসে ভরপুর থাকার কথা কৃষকের মাঠ। সেখানে মাঠে ধান লাগানো হয়েছে। কয়েকবার বৃষ্টিতে সময় মত শস্যদানার চাষ মার খেয়েছে। যা ঘরে ছিল তা গত বছরের শস্য দানা বলে তারা জানান। সেগুলো বিক্রি করে ধানের সেচ ও সারের টাকা জোগাড় করছেন তাঁরা।
মাগুরা ভুসি মালের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম আজকের পত্রিকাকে জানান, এখানে যারা পাইকার ক্রেতা আমাদের সমিতির তাঁরা দেশি শস্যর ব্যবসায়ী। চার মাস এই ব্যবসার শুরুটা এই ফাল্গুন মাসে শুরু হয়। সেখানে বাজারে কোনো ফসল আসছে না।