গাজীপুরের শ্রীপুরে স্কুলে ঢুকে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে অপর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মুলাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিযুক্ত সুমন ফকিরের (৩৩) বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সুমন ফকির উপজেলার মুলাইদ গ্রামের সাহাব উদ্দিন ফকিরের ছেলে। সুমন ফকিরের ছেলে সিজান ইসলাম একই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সৌরভ (১১) বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা পোশাক কারখানার শ্রমিক।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্র সৌরভ জানায়, সকালে পিটি প্যারেড শেষে সবাই মিলে হাতমুখ ধুচ্ছিল তারা। এ সময় দুষ্টুমি করে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সিজান ইসলামের শরীরে একটু পানির ছিটা দেয় সে। এতে সিজান কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে যায়। কিছুক্ষণ পর সিজানের বাবা সুমন ফকির স্কুলে এসে সৌরভকে মারধর করেন।
পরে শিক্ষকেরা এগিয়ে এসে সৌরভকে রক্ষা করেন।
মুলাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুকূল সরকার বলেন, ‘পিটি প্যারেড শেষে আমি শিক্ষকদের নিয়ে উপবৃত্তির বিষয়ে মিটিং করছিলাম, হঠাৎ করেই অভিযুক্ত সুমন ফকির পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সৌরভকে শার্টের কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে মারধর করতে করে অফিস রুমের ভেতরে প্রবেশ করেন।
উচ্চস্বরে প্রধান শিক্ষক কই এ বলে চিৎকার শুরু করে। আমার সামনেও সৌরভকে মারধর করেন। রক্ষা করতে গেলে আমাকেও মারধর করতে উদ্যত হয়।
বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুশিক্ষার্থী ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।’
অভিযুক্ত সুমন ফকিরের বক্তব্য নিতে তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি ভালোভাবে খোঁজখবর নিতে বলেছেন।
খোঁজখবর নিচ্ছি।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দেওয়া লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউএনও তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’