নরসিংদীতে গ্রাহকদের দুই শ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়া শাহ্ সুলতান মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাবেক পরিচালক কামাল হোসেন সিকদারকে মামলা থেকে অব্যাহতির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ওই মাল্টিপারপাসের লেনদেনে অসংগতির কারণে কামাল হোসেন সিকদার ২০১৬ সালে ওই কোম্পানি থেকে অব্যাহতি নিলেও তাঁকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
গতকাল বুধবার দুপুরে নরসিংদী শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান দুই মামলায় পলাতক শাহ্ সুলতান মাল্টিপারপাসটির সাবেক পরিচালক কামাল সিকদারের স্ত্রী রুমা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রুমা আক্তার বলেন, মো. কামাল হোসেন সিকদার ২০১০ সালে শাহ সুলতান গ্রুপের পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে এই কোম্পানি কর্তৃক গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ ও লেনদেন কার্যক্রম সঠিক মনে না হওয়ায় শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি ২০১৫ সালের ১৫ জুন সমিতির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আইনগতভাবে আবেদন করেন। পরবর্তীকালে শাহ-সুলতান গ্রুপের ২৩তম বোর্ড সভায় ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর গ্রুপের পরিচালকের পদ থেকে কামাল হোসেন সিকদারকে অব্যাহতি কার্যকর হয়। এর পর থেকে শাহ সুলতান কোম্পানির সঙ্গে কামাল হোসেন সিকদারের কোনো সম্পৃক্ততা ও লেনদেন নেই। এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সব প্রমাণপত্রও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের শুরুতে গ্রাহকদের প্রায় দুই শত কোটি টাকা নিয়ে শাহ্ সুলতান মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটির কর্মকর্তারা অফিস বন্ধ করে উধাও হয় বলে গণমাধ্যমের খবরে জানতে পারি। এ ঘটনায় মার্চ মাসে নরসিংদীর পলাশ ও মনোহরদীতে পৃথক দুটি অর্থ প্রতারণা মামলা দায়ের করেন কিছু গ্রাহক। মামলায় ৫ জন আসামি গ্রেপ্তারও হয়েছে। ওই মামলায় ১০ ও ১১ নম্বর আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করার কারণে মো. কামাল হোসেন সিকদার পলাতক রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে কামাল হোসেন সিকদারের দুই কন্যাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।