নরসিংদীর শিবপুরে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় পড়শি বাড়ি গার্ডেন নামের নির্মাণাধীন ফাস্ট ফুডের দোকান ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ সময় ওই গার্ডেনের নার্সারির প্রায় ২ লাখ টাকার ফলদ ও সবজি গাছ কেটে এবং উপড়ে ফেলে নষ্ট করা হয়েছে এবং এতে প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী মোর্শেদ মিয়ার। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের ভুরবুড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শিবপুর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মোর্শেদ মিয়ার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ মাস আগে উপজেলার ঘাঘটিয়া গ্রামের মোর্শেদ মিয়া ও মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভুরবুড়িয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া কলেজের পাশে ৫৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ৫ বছরের জন্য একটি জমি ভাড়া নেন। এর পর সেখানে পড়শি বাড়ি গার্ডেন নামের ফাস্ট ফুডের দোকান ও নার্সারি তৈরি করেন। কিছুদিন পর গার্ডেনটি চালু হওয়ার কথা ছিল। এরই মধ্যে গতকাল সোমবার সকালে ঘাঘটিয়া গ্রামের ২০ থেকে ২৫ জন মিলে ওই প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় তাঁরা ওই ফাস্ট ফুডের দোকান ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং নার্সারির বিভিন্ন ফলদ ও সবজির গাছ নষ্ট করে চলে যায়। পরে মোর্শেদ মিয়া ৯৯৯-এ কল করে শিবপুর মডেল থানায় খবর দেন।
ভুক্তভোগী মোর্শেদ মিয়া বলেন, ‘ঘাঘটিয়া গ্রামের রহমান, ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম ও কাইয়ুম গংদের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। তাঁদের কথামতো ব্যবসা করতে ২ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ার কারণে এই হামলা চালানো হয়। এতে আমার প্রায় ৭ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমি এই হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ নিয়ে ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, নার্সারি ও রেস্টুরেন্ট করার নামে ওই ঘরের ভেতর নরসিংদী সদর থেকে এসে বাজে ছেলেরা আড্ডা দেয় ও মাদক সেবন করে। এই বিষয়টি কলেজের প্রিন্সিপালও জানে, তিনিও অভিযোগ করেছেন বিষয়টি নিয়ে। এরই প্রেক্ষিতে গ্রামের লোকজন গিয়ে ঘরটি পুড়িয়ে দেয়। পুলিশও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি জেনে গেছে। তবে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
শিবপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক আফজাল হোসেন বলেন, যে ঘরটি পুড়েছে সেই ঘরে বহিরাগতরা এসে আড্ডা দেওয়ায় পার্শ্ববর্তী কলেজের শিক্ষার্থীদের সমস্যা হয় বিধায় স্থানীয় লোকজন এই ঘরটি পুড়িয়ে দেয় বলে জেনেছি। তবে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘটনার পর থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।