বরিশালে মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনে আবারও প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। শিক্ষক সমিতির (কামরুজ্জামান) একটি অংশ গতকাল বুধবার সংগঠন বিলুপ্ত করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতিতে একাত্ম হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অপর দিকে শিক্ষক সমিতির (কামরুজ্জামান) অপর অংশ দাবি করছে, অন্য সংগঠনে যোগদানকারীরা শিক্ষক সমিতি (কামরুজ্জামান) থেকে বহিষ্কৃত। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
নগরীর ফকিরবাড়ি সড়কে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ভবনে গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় যোগদান অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি বরিশাল আঞ্চলিক শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ ফরিদুল আলম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস।
এ সময় শিক্ষক সমিতির (কামরুজ্জামান) একদল নেতা বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতিতে যোগদানের ঘোষণা দিয়ে জানান, আগের সব বিরোধ ও ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে তাঁরা বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতিতে একাত্ম হলেন।
শিক্ষক সমিতি (কামরুজ্জামান) বরিশাল আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. ইসাহাক ও সাধারণ সম্পাদক সঞ্চয় কুমার খান জানান, এ যোগদানের মাধ্যমে বরিশালে শিক্ষক সমিতির (কামরুজ্জামান) আঞ্চলিক ও জেলা শাখা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এখনো যাঁরা শিক্ষক সমিতি (কামরুজ্জামান) নামে সংগঠন চালাচ্ছেন, তাঁরা বৈধ নয়।
যোগদানকারী শিক্ষকেরা আরও দাবি করেন, ২০০৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে সমিতির বরিশাল আঞ্চলিক শাখা বিভাজন হয়ে কামরুজ্জামান গ্রুপের সৃষ্টি হয়। বিভাজনের পর থেকেই শিক্ষকেরা অন্যায় আচরণের শিকার এবং চাকরি হারাচ্ছেন। শিক্ষক আন্দোলন হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি আদায়ে ২০ বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতার অবসান ঘটল।
অন্যদিকে শিক্ষক সমিতির (কামরুজ্জামান) গ্রুপের আরেক অংশের আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি সিকদার মুহাম্মদ শফিউল আজম বলেন, গত ২১ জানুয়ারি সংগঠনের সম্মেলনের মাধ্যমে ১২ বছর পর আঞ্চলিক ও জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। বিগত কমিটির অনেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। তাঁরা শিক্ষক সমিতির (কামরুজ্জামান) নাম ব্যবহার করে আরেকটি সংগঠনে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বিলুপ্তির প্রশ্নই আসে না।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় দ্বিধাবিভক্ত ছাড়াও বরিশালে স্থানীয় কোন্দলও চলছে শিক্ষক সংগঠনগুলোয়। ফকিরবাড়ি সড়কে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের শিক্ষক ভবন নিয়ে দখল, পাল্টা দখল হয়েছে। এমনকি তা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।