চলতি নভেম্বর মাসে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের ডেঙ্গু ইউনিটে চিকিৎসাসেবা নিয়েছে ৫৮ জন। প্রতিনিয়তই নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন থেকে শুরু করে দায়িত্বশীল সব দপ্তর থেকেই সতর্ক করা হচ্ছে ডেঙ্গুর বিষয়ে। এমনকি বাড়ির ছাদে পানি জমে থাকলে জরিমানাও করা হচ্ছে। কিন্তু শর্ষের ভেতরেই যেন ভূত! যেই হাসপাতালে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে, সেই হাসপাতালের ছাদেই জমে আছে ট্যাংকি উপচে পড়া স্বচ্ছ পানি।
গত সোমবার ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের ছাদে উঠে ট্যাংকির নিচের অংশে স্বচ্ছ পানি জমে থাকতে দেখা যায়। কোনো কোনো স্থানে পানি জমে সেখানে তৈরি হয়েছে শেওলা। ছাদের ওপর নির্মাণকাজ চলায় পানি নেমে যাওয়ার পথও গেছে আটকে। ফলে ছাদেই জমেই থাকছে স্বচ্ছ পানি। অথচ সতর্কতার অংশ হিসেবে হাসপাতালকেই সবচেয়ে বেশি পরিচ্ছন্ন এবং এডিস মশার আবাসমুক্ত পরিবেশ থাকা উচিত।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে (নাসিক) দায়িত্বরত একজন নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘প্রতিনিয়ত ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের ছাদে ট্যাংকি উপচে পানি পড়তে থাকে। আমরা বিষয়টি খোদ সিভিল সার্জনকেও একদিন দেখিয়েছি। বৃষ্টি না হলেও হাসপাতালের ছাদে পানি জমে থাকাটা দুঃখজনক।’
হাসপাতালের ডেঙ্গু ইউনিটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে ডেঙ্গু রোগী আসা শুরু হয়। আগস্ট মাসে আটজন, সেপ্টেম্বর মাসে ১৪ জন, অক্টোবর মাসে ৬১ জন এবং নভেম্বরের ২০ তারিখ পর্যন্ত ৫৮ জন সেবা নিয়েছে। অধিকাংশ রোগীই আসছে নারায়ণগঞ্জ শহর, ফতুল্লা ও বন্দর থেকে।
নাসিকের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস বলেন, ‘ডেঙ্গুমুক্ত ওয়ার্ড রাখতে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছি। যদি হাসপাতালের ছাদেই স্বচ্ছ পানি জমে থাকে তাহলে সেটা দুঃখজনক। কারণ ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা স্বচ্ছ পানিতেই ডিম পাড়ে। সেখানে হয়তো এডিস মশার লার্ভাও পাওয়া যেতে পারে।’
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শেখ ফরহাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি। তবে কথা হলে সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মশিউর রহমান বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’