ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের দলবদলের শেষ দিন ছিল গত ৩১ আগস্ট। আর্থিক অসংগতির মধ্যেও এবার বেশ কজন বড় নাম দলে ভিড়িয়েছে বার্সেলোনা। রবার্ট লেভানডফস্কি, রাফিনহা, জুলস কুন্দে, ফ্রাঙ্ক কেসি ও আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেনকে ক্যাম্প ন্যুয়ে এনেছে কাতালান জায়ান্টরা। এটি করতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চতুর্থ ‘অর্থনৈতিক লিভার’ চালু করতে হয় তাদের। এমনকি ফ্রাঙ্ক ডি ইয়ংকে বিক্রি করে পঞ্চম লিভার চালুরও চিন্তাভাবনা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তা।
নতুন শতকের শুরুতে বার্সার খেলোয়াড় চুক্তিতে খরচ হয়েছিল ৮২.৪০ মিলিয়ন ইউরো। তবে এবার সেই খরচ দ্বিগুণ হয়েছে। ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে ২০২২-২৩ মৌসুম নিজেদের ঢেলে সাজানো স্প্যানিশ ক্লাবটির খরচ করেছে ১৫৩ মিলিয়ন ইউরো; গত মৌসুমে যে খরচ ছিল ৬৯.৫০ মিলিয়ন ইউরো। এবার লিডস ইউনাইটেড থেকে রাফিনহাকে কিনতেই ৫৮ মিলিয়ন ইউরো গেছে বার্সার। এত খরচের পর এবার কি সাফল্যের মুখ দেখবে কাতালান জায়ান্টরা? অবশ্য কোচ জাভির অধীনে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস মিলছে। চলতি লা লিগায় ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে তারা। জাভির শিষ্যদের চ্যাম্পিয়নস লিগও শুরু হয়েছে দারুণ জয়ে।
তবে অতীতে এর চেয়ে বিশাল অঙ্কের অর্থ ঢেলেও সাফল্য না পাওয়ার রেকর্ডও আছে বার্সার। ফিলিপে কুতিনহো থেকে আঁতোয়া গ্রিজমান, ম্যালকম থেকে মিরালেম পিয়ানিচ—বড় অঙ্কের চুক্তির তালিকায় থাকা তারকারা বলতে গেলে ক্যাম্প ন্যুয়ে ব্যর্থ ছিলেন। ২০১৭-১৮ মৌসুমে ক্লাব রেকর্ড ১৩৫ মিলিয়ন চুক্তিত কুতিনহোকে কিনেছিল বার্সা। সেবার তাদের খরচ হয় ৩৬৫.১০ মিলিয়ন ইউরো; যা এখন পর্যন্ত বার্সার ট্রান্সফার ইতিহাসে সর্বোচ্চ খরচ। ২০১৯-২০ মৌসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৮.৫০ মিলিয়ন খরচ করে বার্সা। যেখানে তাদের ১২০ মিলিয়ন ইউরো যায় গ্রিজমানকে কিনতে। কিন্তু বার্সার তৃতীয় সর্বোচ্চ ট্রান্সফার চুক্তির রেকর্ড গড়েও ফরাসি ফরোয়ার্ড সাফল্য এনে দিতে পারেননি।