বরিশালের উজিরপুরে সাতলায় রেলিংবিহীন একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু নিয়ে বিপদে পড়েছেন এলাকাবাসী। ইতিমধ্যে সেতুটি থেকে পড়ে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন বিভিন্ন সময় আহত হয়েছে মাদ্রাসা ও স্কুলশিক্ষার্থীরা।
জানা যায় ২০-২৫ বছর আগে সাতলা ইউনিয়নের কঁচা নদীর ওপর ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই লোহার সেতুটি বানানো হয়। আর রেলিংটা ভেঙে যায় ২০১৫ সালে।
সর্বশেষ গত রোববার বিকেলে সেতুর ওপর দুটি ভ্যানগাড়ি অতিক্রমের সময় ওই এলাকার মাদ্রাসাপড়ুয়া শিক্ষার্থী আব্দুল কাদের বালি (১২) নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। তাকে আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার সাতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়েরসংলগ্ন রেলিংবিহীন সেতুটি দিয়ে সাতলা, হারতা, বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি, বাগধাসহ চার-পাঁচটি উপজেলার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছে। সেতুটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ২০১৫ সাল থেকে স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের কাছে দৌড়-ঝাঁপ করে সেতুটি সংস্কার না করতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার বলেন, ‘গত রোববার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীকে স্থানীয়দের মাধ্যমে দ্রুত হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এক সপ্তাহ আগে হারতা গ্রামের এক পথচারী ওই সেতু থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আমি নিজস্ব অর্থায়নে কিছু পাটাতনের ফাঁকা স্থান ঠিক করি।’
এদিকে ওই সেতুর প্রাক্কলনের পরেও কোনো কার্যক্রম না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, ‘সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত নির্মাণ না হলে আরও মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে।’
উপজেলা প্রকৌশলী শেখ আজিমুর রশিদ বলেন, ‘সাপোর্টিং ফর রুরাল ব্রিজ প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ রাস্তায় স্থাপিত ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলোর মেরামতকাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত এই সেতিটি সংস্কারে জন্য কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে কাজ শুরু করা হবে।