মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় দস্যুতার মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে প্রায় তিন যুগ পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার সকালে শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ঘাট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে র্যাব-৪-এর সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরিফ হোসেন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
পলাতক আসামির নাম আবদুল মজিদ (৬৬)। তিনি সদর উপজেলার ছকাই বেংরুই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জামিন পাওয়ার পর প্রায় ৩৬ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৯৮৫ সালে সদর উপজেলার ছকাই বেংরুই গ্রামের কালীগঙ্গা নদীর চরে দেশীয় ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মি করে আরান মল্লিক নামের এক কাপড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ অর্থ ও কাপড় লুট করে নিয়ে যান মজিদ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাদী হয়ে সদর থানায় একটি দস্যুতার মামলা করেন। এর কয়েক দিন পর পুলিশ আসামি মজিদকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ৩ মাস ৩ দিন কারাভোগের পর জামিনে বের হন তিনি। আদালতে হাজিরা না দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। ইতিমধ্যে আসামির অনুপস্থিতিতে আদালত বিচারকাজ সম্পন্ন করেন এবং আসামি মজিদকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তিন যুগ পর সোমবার সকাল ৯টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে অভিযান চালিয়ে মজিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরিফ হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজিদ জানান, আদালতের দেওয়া সাজা থেকে বাঁচতে প্রথমে যশোরে আত্মগোপন করে বসবাস করেন তিনি। প্রায় ৩ বছর পর তিনি তাঁর অবস্থান বদল করে ঝিনাইদহ গিয়ে ২ বছর এবং পরবর্তীতে ঢাকার আমিনবাজার এলাকায় ৩ বছর আত্মগোপনে থাকেন। এর পর ১৯৯২ সালে মজিদ নাম পরিবর্তন করে, ফারুক নামে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করেন তিনি। এ সময় ট্রাক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন মজিদ। সেখানকার লোকজন তাঁকে ফারুক ব্যাপারী নামে চেনেন। গ্রেপ্তার আসামিকে সদর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামি মজিদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’