হোম > ছাপা সংস্করণ

লাভ থাকে না বাঁশের সামগ্রীতে

সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাঁশ ও বেতের সামগ্রী তৈরির সঙ্গে জড়িত শিল্পীরা নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত। উপকরণের দাম বাড়ায় তেমন লাভ থাকে না এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের। ফলে উপজেলার দুই শতাধিক পরিবারের দিন কাটছে অভাব-অনটনে। যে কারণে বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই কুটিরশিল্প।

পরিবারের ভরণ-পোষণের যোগান দিতে এক যুগ আগে বাঁশ-বেতের কাজ শুরু করেন উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের উত্তর মাহামুদাবাদ এলাকার আনোয়ারা বেগম (৪৫)। বাজার থেকে বাঁশ ও বেত সংগ্রহের পর তা দিয়ে তৈরি করতেন ধামা, ঢোল, ডালা ও চাটাইসহ নানা ধরনের পণ্য। শুরুর দিকে ক্রেতাদের কাছে এসব পণ্যের কদর ছিল। ফলে বাজারে বেশ চাহিদা ছিল। এতে লাভ বেশ হতো আনোয়ারার। সেই উপার্জনে চালাতেন সংসারের খরচ। কিন্তু বর্তমানে এই শিল্পের কদর কমছে। উপকরণের দাম বেড়ে চলায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ। তবে সেই অনুপাতে পাইকারি বাজারে দাম বাড়েনি তাঁর তৈরি পণ্যে। যে কারণে বিক্রি করে আশানুরূপ লাভ মিলছে না। ফলে এক রকম অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে তাঁদের।

শুধু আনোয়ারা বেগমই নন, কুটির শিল্পের কদর কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন উপজেলার বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, বহরপুর ও টেরিয়াইলসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দুই শতাধিক পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সঠিক বাজারদরের অভাব ও ব্যবসার প্রয়োজনীয় পুঁজি সংকটের কারণে তাঁদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। বাজারে আধুনিক ও বাহারি জিনিসের প্রচলনের কারণে বাঁশ-বেতের তৈরি পণ্যের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এতে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত লোকজন পড়েছেন অস্তিত্বের সংকটে। পরিবারের ব্যয় মেটাতে অনেকেই পেশা ছেড়ে জড়িয়ে পড়ছেন অন্য পেশায়।

বহরপুর এলাকার অনিল চন্দ্র দাস (৬৫) তাঁদেরই একজন। তিনি বলেন, এক সময় পুরো উপজেলাজুড়ে বাঁশ ও বেতের তৈরি নানা পণ্যের বেশ কদর ছিল। বাজারের চাহিদা থাকায় সে সময় কুটির শিল্প ছিল মহৎপুর এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবারের জীবিকার মাধ্যম। পাইকারি বাজারে বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্য বিক্রির জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা কাজ করতেন এসব পরিবারের নারী-পুরুষেরা। অনেকে বাড়িতে এসে আগেই জানিয়ে যেতেন তাঁদের চাহিদার কথা। এতে স্বচ্ছন্দ ছিল তাঁদের জীবন-যাপন।

অনিল দাস আরও বলেন, একসময় পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর বাঁশ ও বেত উৎপাদন হতো। তখন সাধ্যের মধ্যে স্বল্প মূল্যে পাওয়া যেত এসব পণ্য। কিন্তু বর্তমান সময়ে বাঁশ-বেতের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের উত্তর মাহামুদাবাদ এলাকার জালাল আহমেদ বলেন, কয়েক বছর আগেও এ অঞ্চলে বাঁশ সহজলভ্য ছিল। ৪০ থেকে ৫০ টাকায় একটি বাঁশ কেনা যেত। এখন তার দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। কিন্তু সেই অনুপাতে উৎপাদিত পণ্যের দাম তেমন বাড়েনি।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, এই শিল্পকে বাঁচাতে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করার পর সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে। এ ছাড়াও তাঁদের ব্যবসার প্রসারে ব্যাংক ঋণ পেতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ