হোম > ছাপা সংস্করণ

পৌরসভাই হত্যা করছে খাল

মিরাজ হোসেন, দৌলতখান (ভোলা)

দৌলতখান পৌর শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলার মতো নির্ধারিত কোনো জায়গা নেই। তাই পৌর শহরের আবাসিক এলাকার সব আবর্জনা সংগ্রহ করে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা উপজেলার বেতুয়া খালে ফেলছে। এ কারণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে খালটি।

বেতুয়া খালে অপরিকল্পিতভাবে বর্জ্য ফেলায় জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ময়লা জমে সৃষ্ট দুর্গন্ধে আশপাশের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। বেড়েছে মশার উপদ্রবও। এক সময়ের খরস্রোতা বেতুয়া খালটি এখন ধুঁকছে। স্রোত হারিয়ে প্রায়ই মৃত অবস্থায় রয়েছে।

দৌলতখান পৌর শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রতিনিয়ত কুড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে পরিত্যক্ত জিনিসপত্র ও ময়লা-আবর্জনা। পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এসব ময়লা-আবর্জনা গাড়িতে ভর্তি করে উপজেলা পরিষদের প্রবেশমুখের সেতু থেকে খালে ফেলে দেন। এ কারণে খালটি ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ময়লার স্তূপে সেতুরগোড়া দিনদিন ভরাট হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন। দেখার যেন কেউ নেই। ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান হিসেবে সেতুর গোড়াটি চিহ্নিত করায় প্রতিনিয়ত পচা আবর্জনার দুর্গন্ধে পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনের জানা যায়, ময়লা-আবর্জনার স্তূপ মেঘনা-তেঁতুলিয়া জোয়ার-ভাটার সংযোগ খালটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। তেঁতুলিয়া সংযোগ থেকে বাংলাবাজার হয়ে দৌলতখানের বালক বিদ্যালয়ের কাছে বেতুয়ার জলকপাট দিয়ে মেঘনায় প্রবাহিত হয়। পথিমধ্যে অনেক অসাধু লোকজন মাছ ধরার জাল ও ঘের পাতায় পানি প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকে আবার খাল ভরাট করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করছেন, বাগান বাড়ি বাড়াচ্ছেন। এতে বর্ষায় কৃষকের ফসল বিনষ্ট হয়ে যায়। খালে পানি আটকে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত ফসল ফলাতে পারেন না। খালে পানি প্রবাহপথে বাধার সৃষ্টি হওয়ায় ফসলের মাঠ তলিয়ে যায়।

ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা জানান, পৌরসভা থেকে ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। এ কারণে বাধ্য হয়ে সবাই এখানে খালি জায়গায় ময়লা ফেলছেন। আগে এই খালটি দিয়ে বড় বড় নৌকা চলাচল করত, এখন আর নৌকা চলাচল করে না।

পৌর এলাকার বাসিন্দা কাশেম পাটোয়ারী ও মানিক মিয়া জানান, পৌরসভার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় বর্জ্য নিয়মিত এই খালে ফেলতে হয়। যার ফলে ময়লা-আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। মাঝে মধ্যে মশার ব্যাপক উপদ্রব হয়। বাসাবাড়ির পাশাপাশি পৌর শহরের অনেক হোটেল ও দোকানের ময়লা-আবর্জনাও খালে ফেলে দেয়। পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি এসবের কারণে বেড়েছে মশার উপদ্রব। খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। বিভিন্ন বাজারের ময়লাও ফেলা হয় খালের এসব স্থানে। আরও বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করে তারা জানান, এলাকার মানুষের ময়লা ফেলার কোনো নির্দিষ্ট স্থান নেই। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গাটিতে ময়লা ফেলার কারণে খালটি মৃতপ্রায়। এসব কারণে বেতুয়া খালটি অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। স্থানীয়রা চান, পৌরসভার এসব বর্জ্য অন্য জায়গায় ফেলা হোক।

পৌর মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার বলেন, ‘ওই স্থানটিতে পৌর শহরের ময়লা ফেলা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে বিষয়টি আমার নজরে আসার পরপরই এখানে ময়লা ফেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ময়লা ফেলার নির্ধারিত স্থান ঠিক করে দিয়েছি।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ