টেবিলে মা নাশতা দিয়েছেন। কিন্তু মুখ গোমড়া করে বসে আছে জরি। কিছুতেই খাবার খেতে চাইছে না। সে চায় অন্য রকম কিছু খেতে। প্রতিদিনের নাশতার চেয়ে ভিন্ন কিছু। রোজ খাবার খেতে বসে জরি ভিন্ন কিছু খোঁজে। সকালের নাশতা তো জরিকে খাওয়াতে হবে। নয়তো জরি অসুস্থ হয়ে যাবে। তাই তার মা এক বুদ্ধি বের করলেন।
টেবিলের একপাশে রাখা পাউরুটি থেকে তিন পিস পাউরুটি নিলেন জরির মা। এবার একটি পাত্রে চকলেট নিলেন। সেই চকলেট একটি পাত্রে রেখে ওভেনে গরম করে নিলেন। কিছুটা চকলেট কেচাপ বোতলে ভরে নিয়েছেন জরির মা। এবার পাউরুটির ওপর শুরু হলো এক্সপেরিমেন্ট।
জরি বিড়ালছানা, খরগোশ ইত্যাদি ভালোবাসে। তাই মা ভাবলেন পাউরুটিতে জরির প্রিয় মুখ এঁকে দেবেন। আর পছন্দের বিড়ালছানা, খরগোশ কিংবা প্রিয় কোনো প্রাণীর ছবি দেখে জরি খুশি হয়ে যাবে এবং খাবার খেয়ে নেবে।
ভাবনা অনুযায়ী কাজ করলেন জরির মা। তিন পিস পাউরুটি নিলেন। একটিতে বিড়ালছানার মতো আকার দিলেন তিনি। কান, নাক ও মুখ আঁকলেন। পাত্রে গলিয়ে রাখা চকলেট দিয়ে বাকি অংশটুকু মাখিয়ে দিলেন। ঠিক এভাবে জরির মা খরগোশ ও কুকুরছানা এঁকে দিলেন পাউরুটিতে। এরপর জরি খুশি হয়ে খাবারটা খেয়ে নিল। জরির পেট ভরে গেল। মা ও জরি দুজনই খুশি।