রাজবাড়ীর পাংশায় উপজেলার কলেজ রোডের একটি অংশে দীর্ঘদিন ধরে বালু ও পাথর রেখে ব্যবসা করার খবর পাওয়া গেছে। এতে ভোগান্তিতে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা। এ ছাড়া বড় কোনো যানবাহন এলে ওই স্থানে প্রায়ই সৃষ্টি হয় যানজট। মাঝে মধ্যে ঘটে দুর্ঘটনাও। স্থানীয়রা দ্রুত বালু ও পাথর অপসারণের দাবি জানিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার পূর্বাঞ্চল মানুষের বাজারে প্রবেশের প্রধান সড়ক কলেজ রোড। পৌর শহরের নারায়ণপুর গ্রামে বায়তুল্লাহ সড়ক মোড়ে পাথর ও বালু ফেলে রাখা হয়েছে। সড়কটি দিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে যায় পাংশাবাসী। সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ইজিবাইক ও অটো ভ্যানসহ হাজার হাজার যান চলাচল করে।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির অর্ধেক অংশজুড়ে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিটার জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছে বালু ও পাথর।
মো. আলাউদ্দিন নামে এক পথচারী বলেন, ‘এই স্থানে দীর্ঘদিন বালু ফেলে রেখে ব্যবসা করে আসছে টিপু ভ্যান্ডার নামের এক ব্যবসায়ী। আমি প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাই। এই জায়গাটুকু পার হতে গেলে ভয় লাগে, কখন যেন পেছন থেকে গাড়ি এসে ধাক্কা দেয়।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী অন্তর ট্রেডার্সের পরিচালক অন্তর মন্ডল বলেন, ‘এই জায়গাতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। আজ সকালেও একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মোটরসাইকেল চালক আহত হয়েছেন। বড় কোনো গাড়ি এলেই জায়গাটিতে প্রায় যানজট লেগে যায়।’
ইজিবাইক চালক রুবেল আহমেদ বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে কালুখালী–পাংশা ভাড়া টানি। মেইন শহরের মধ্যে রাস্তায় বালু ফেলে রাখা আমাদের জন্য খুবই বিপজ্জনক।’
এ বিষয়ে টিপু ভ্যান্ডার বলেন, ‘আমি শেয়ার বালুর ব্যবসা করি। দীর্ঘদিন ওখানে বালু ফেলে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি ঢাকাতে রয়েছি। এলাকায় এলে সরিয়ে নেওয়া হবে।’ পাথরের বিষয়টি জানেন না বলে জানান টিপু।
এ বিষয়ে পাংশা পৌর মেয়র মো. ওয়াজেদ আলী মণ্ডল বলেন, কে বা কারা বালু ফেলে রেখেছে বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখি কি করা যায়।