পবিত্র কোরআনে মহানবী (সা.)-এর পরিচয় দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের নিজেদের মধ্য থেকেই তোমাদের কাছে এক রাসুল এসেছে। তোমাদের যেকোনো কষ্ট তার জন্য অতি পীড়াদায়ক। সে তোমাদের কল্যাণকামী। মুমিনদের প্রতি অত্যন্ত সদয়, পরম দয়ালু।’ (সুরা তওবা: ১২৮) অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘নবী মুমিনদের জন্য তাদের নিজেদের চেয়েও অধিক আপন।’ (সুরা আহজাব: ৬) মানুষের ভালোবাসায় তাদের হেদায়েতের জন্য তিনি এতই চিন্তিত থাকতেন যে, আল্লাহ বলেন, ‘সম্ভবত আপনি তাদের জন্য আফসোস করতে করতে নিজের প্রাণনাশ করে ফেলবেন—যদি তারা এ বাণীর প্রতি ইমান না আনে।’ (সুরা কাহফ: ১৮)
হেদায়েতের দাওয়াত দিতে গিয়ে যারা তাঁর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছে, তাদের প্রতিও তিনি অসামান্য উদারতা দেখিয়েছেন। ফেরেশতারা তায়েফের জালিমদের শাস্তি দেওয়ার অনুমতি চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এটা চাই না; বরং আমি আশা রাখি, আল্লাহ এদের বংশধরদের মধ্যে এক আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না— এমন মানুষ সৃষ্টি করে দেবেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)
একাধিক হাদিসে মহানবী (সা.)-এর মানবপ্রেম প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার ও তোমাদের দৃষ্টান্ত ওই ব্যক্তির মতো, যে আগুন জ্বালাল এরপর ফড়িংয়ের দল তাতে পতিত হতে লাগল, আর সেই ব্যক্তি তাদের আগুন থেকে তাড়াতে লাগল। এভাবে আমিও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানোর জন্য তোমাদের কোমর ধরে টানছি আর তোমরা আমার হাত থেকে ছুটে যাচ্ছ।’ (মুসলিম) অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, ‘প্রত্যেক নবীকে নিশ্চিত কবুল হবে, এমন একটি দোয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। অন্য নবীরা দুনিয়াতে দোয়াটি করেছেন এবং কবুল হয়েছে। তবে আমি তা কিয়ামতের দিন আমার উম্মতের সুপারিশের জন্য মুলতবি রেখেছি।’ (মুসলিম)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক