কক্সবাজারের রামু থেকে অপহৃত চার শিক্ষার্থীকেই উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত শুক্রবার রাতে তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। আর গতকাল শনিবার সকালে মিজানুর রহমান নয়ন নামের অপর শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানায় র্যাব। র্যাব জানায়, ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) দুজনকে এবং র্যাব দুজনকে উদ্ধার করে।
সংবাদ সম্মেলন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খাইরুল ইসলাম বলেন, রামুর প্যাচারদ্বীপ এলাকা থেকে চার স্কুলছাত্র অপহরণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয় র্যাব। গত শুক্রবার বিকেল থেকে র্যাবের একটি দল টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যায় অপহৃত স্কুলছাত্র কায়সার আহমেদকে উদ্ধার করে। গতকাল শনিবার সকালে আরও এক স্কুলছাত্র মিজানুর রহমান নয়নকে একই এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে র্যাব এ ঘটনায় জড়িত দুই রোহিঙ্গা জাহাঙ্গীর ও জাবেদকে গ্রেপ্তার করে।
অপর দিকে টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এপিবিএনের সদস্যরা গত শুক্রবার রাতে টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অদূরে পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে দুই স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করে।
১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, জাহিদুল ইসলাম মামুন ও মিজানুল ইসলামকে এপিবিএনের সদস্যরা উদ্ধার করেছে। এ সময় এক নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৭ ডিসেম্বর উপজেলার সোনার পাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র জাহেদুল ইসলাম, অষ্টম শ্রেণির মিজানুর রহমান নয়ন মোহাম্মদ কায়সার ও মিজানুল ইসলামকে অপহরণ করা হয়।
তাদের বাড়ি রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কসংলগ্ন প্যাঁচারদ্বীপ এলাকায়।
স্থানীয় বাতিঘর নামের একটি আবাসিক কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও ইব্রাহিম সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের কথা বলে তাদের টেকনাফ নিয়ে যায়।
এরপর তাদের পরিবার থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে শিক্ষার্থীদের প্রাণনাশের হুমকি দেন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।