বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এখন দারুণ অবস্থানে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে যেতে আজ মুখোমুখি হবে একে অপরের। এই ম্যাচে যারা জিতবে তাদের সেমিফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে।
গতবারের রানার্সআপ ও ওয়ানডের বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরু করেছে দারুণভাবে। প্রথম দুই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশকে পাত্তাই দেয়নি তারা। উইন্ডিজকে ৫৫ রানে অলআউট করার পর বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে এউইন মরগানের দল। এই দুই দাপুটে জয়ে রান রেটেও এখন গ্রুপে বাকিদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছে ইংলিশরা। আজকের ম্যাচ জিতলে তাই সেমির পথটা তাদের জন্য অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই দারুণ ছন্দে আছেন ইংলিশ তারকারা। প্রথম ম্যাচে আদিল-মঈনদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। পরের ম্যাচে বাংলাদেশকেও মঈন-মিলসরা সুযোগ দেননি। সেই ম্যাচে ব্যাটিংয়েও দৃঢ়তা দেখিয়েছে দলটি। জেসন রয়-ডেভিড মালানরা নিজেদের শক্তিও দেখিয়েছেন। এখন সেই ছন্দ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ধরে রাখার অপেক্ষা।
ইংল্যান্ডের মতো অতটা দাপুটে না হলেও অস্ট্রেলিয়াও বিশ্বকাপে এগোচ্ছে দারুণভাবে। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৮ রানে আটকে দেয় তারা। পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্য অসিরা পেরিয়ে গেছে ৮ উইকেট হাতে রেখে। অসিদের জন্য সুখবর ডেভিড ওয়ার্নারের ছন্দে ফেরার খবর। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪২ বলে ৬৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন এই বাঁ হাতি ওপেনার।
তবে অতীত পরিসংখ্যান ভুলে এই ম্যাচের লড়াইয়ে নামতে হবে দুই দলকে। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচ মানে এমনিতেই বাড়তি উত্তেজনা। ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অসি পেসার পেট কামিন্সও আলাদাভাবে এই ম্যাচের গুরুত্ব নিয়ে কথা বললেন। কামিন্স বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা ম্যাচ। আমরা সবাই এই ম্যাচের গুরুত্ব সম্পর্কে জানি। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটা অনেক বড় ম্যাচ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে আমরা সব সময় পছন্দ করি।’
বিশ্বকাপ জেতার লড়াইয়ে ইংল্যান্ডকে অন্যতম ফেবারিট বলেও উল্লেখ করেছেন কামিন্স, ‘বিশ্বকাপের চার-পাঁচটি ফেবারিটের একটি তারা। এই ফরম্যাটে সেরা তিন-চারটি দল যে কাউকে হারাতে পারে।’