কালকিনিতে বাদীর চাচা লিয়াকত আলী খানকে (৫৮) পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কালকিনির পূর্ব এনায়েতনগর এলাকার কালাই সরদারের চর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন আহত কৃষককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর এলাকার কালাই সরদারের চর গ্রামে ভুলু খানের ছেলে মিরাজ খানের সম্প্রতি বাম পা কেটে নিয়ে যায় স্থানীয় প্রভাবশালী আপাং কাজীর লোকজন। এ ঘটনায় মিরাজ খানের ভাই কালাম খান বাদী হয়ে কালকিনি থানায় আপাং কাজীসহ ৩৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলার আসামিদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে থানা-পুলিশ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পা কাটার মামলার বাদীর চাচা একই এলাকার তিতাই খানের ছেলে লিয়াকত খানের দুই পা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দেন আসামিরা।
আহত লিয়াকত খানের ভাতিজা কালাম খান বলেন, ‘আমার ভাই মিরাজ খানের পা কেটে নেয় আপাং কাজীর লোকজন। তাই আমি আপাং কাজীসহ ৩৫ জনকে আসামি করে কালকিনি থানায় একটি মামলা করেছি। আদালত আসামিদের নামে পরোয়ানা জারি করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার চাচা লিয়াকত খানের দুই পা ভেঙে দিয়েছেন আসামিরা।’
তবে অভিযোগের বিষয় আপাং কাজী বলেন, ‘পা ভাঙার বিষয় আমি কিছু জানি না। কে বা কারা তাঁর পায়ে আঘাত করেছেন, সেটা আমার জানারও কথা না। এখন তাঁরা শত্রুতার কারণে আমাদের জড়িয়ে মিথ্যে ও বানোয়াট কথা বলছেন।’
কালকিনি থানার এসআই কাঞ্চন মিয়া বলেন, ‘আমরা আসামিদের গ্রেপ্তার করতে গেলে, তা টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যান। তবে শুনেছি, পরে সেখানে হামলার ঘটনা ঘটেছে।’