নীলফামারীর সৈয়দপুরে চাষ হচ্ছে ঔষধি ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ‘ব্ল্যাক রাইস’। যা ‘কালো ধান’ নামে পরিচিত। বাজারে এ ধান বা চালের দাম বেশি হওয়ায় চাষিরা আগামী মৌসুমে জমিতে নতুন প্রজাতির এ ধান চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এদিকে নতুন প্রজাতির ধান চাষের খবর পেয়ে দেখার জন্য উৎসুক জনতাও ভিড় করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলার নিয়ামতপুর দেওয়ানিপাড়া গ্রামের চাষি মো. শফিকুল ইসলাম বাবু প্রথমবারের মতো কালো ধানের পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছেন। অন্যান্য ধানের মতোই এই ধানগাছ দেখতে সবুজ। তবে ধানগুলো কালো। প্রতিটি গাছের ডগায় ঝুলছে কালো ধানের শিষ। চলতি মৌসুমে তিনি ২২ শতক জমিতে এ ধান চাষ করে আশার আলো দেখছেন।
মাঠেই কথা হয় চাষি মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এ ধানের ওষধি গুণাগুণের কথা জেনে চাষের ইচ্ছা জাগে। পরে ১ হাজার টাকায় ২৫০ গ্রাম ধানের বীজ কিনে ২২ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষাবাদ শুরু করি। এ ধানের খেতে রোগবালাই নেই বললেই চলে। হালচাষ, রোপণ, মজুরি, সার, কীটনাশকসহ মোট খরচ হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। জমি থেকে ১০-১২ মণ ধানের ফলন আশা করছি। আর মাত্র দুই সপ্তাহের ধান কাটতে হবে।’
ওই গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ধানগাছগুলো বেশ সুন্দর এবং অন্যান্য ধানগাছের মতোই। শুধু ধানগুলো কালো। আর এই কালো ধান থেকেই বের হবে কালো রঙের চাল। শুনেছি এই ধানের চালের ভাত খেলে অনেক রোগবালাই কমে যায়। তাই এই চালের ভাত খাওয়ার জন্য এই ধান সংগ্রহ করবেন তিনি।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আসাদুজ্জামান (শস্য) আজকের পত্রিকাকে জানান, কালো ধানে ফাইবার থাকায় হার্টকে রাখে সুস্থ। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। সৈয়দপুরে কালো ধান চাষ করা ওই চাষিকে ধানের বিপণন, সংরক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।