চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের ৫২ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। এসব বাঁকে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে এ বছরে ৭৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছে ১০ জন। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক যাত্রী।
সূত্রে আরও জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে এ সড়কে ৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছেন ২ জন। আহত হয়েছেন ২০ জন।
কাপ্তাই সড়কের বাসচালক ইলিয়াছ আলী বলেন, এ সড়কটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। রয়েছে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। বাঁকগুলোতে যানবাহন মুখোমুখি হলেই দুর্ঘটনা ঘটে। এসব বাঁকে আয়না স্থাপনসহ প্রয়োজন সংস্কার।
অটোরিকশার যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, স্টেশনগুলোতে কোনো গতিরোধক না থাকায় চালকেরা দ্রুতগতিতে গাড়ি চালান। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক ওয়ার্কাস ইউনিয়ন নেতা শাহ আলম চৌধুরী বলেন, ‘বাঁকগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে বাঁকগুলোতে সতর্কচিহ্নসংবলিত সাইনবোর্ড ও স্বচ্ছ আয়না স্থাপন করা প্রয়োজন। বাঁকগুলো সংস্কার করলে দুর্ঘটনা কমবে।’
চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক যাত্রী হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আবুল ফজল জানান, সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলোর অধিকাংশেরই ফিটনেস নেই। আবার বেশির ভাগ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মো. মাহবুব মিল্কী বলেন, কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়া অংশে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে আমাদের ট্রাফিক পুলিশ আছে মাত্র তিনজন। পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় ট্রাফিক পুলিশ বাড়ানো সম্ভব না। তা সত্ত্বেও নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে যানবাহনের লাইসেন্স ও ফিটনেস যাচাই করা হয়।