এক বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ডাক বিভাগের বাক্সে একটি চিঠিও পড়েনি। অথচ একটা সময়ে ডাকবাক্স ভরে যেতো চিঠিতে। চিঠির অপেক্ষায় পোস্ট অফিসের সামনে জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত মানুষকে। এখন দিন-মাস যায়, বছর পেরিয়েও খোলা হয় না ডাকবাক্স। কারণ ডাকবাক্সে এখন আর চিঠি আসে না।
দুই যুগ আগেও সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ডাক বিভাগের ডাকবাক্স ছিল এলাকার মানুষের জীবনের অপরিহার্য অংশ। এলাকাটি হাওরাঞ্চলে হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা মোটেও ভালো ছিল না। গ্রামের মানুষকে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হতো উপজেলা ও জেলা শহরে। তখন ঢাকায় যেতে ও আসতে ওই এলাকার মানুষদের ২-৩ দিন সময় লেগে যেত। অরুয়াইল পোস্ট অফিসটিই ছিল সরাইলের ভাটি অঞ্চলের ২০ গ্রামের মানুষের দেশ-বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম।
তথ্যপ্রযুক্তির নতুন সব মাধ্যমের কারণে এক প্রকার অচল হয়ে পড়ে আছে অরুয়াইল পোস্ট অফিসের এ ডাকবাক্সটি। ভাঙাচোরা অবস্থায় ডাকবাক্সটি এখনো দাঁড়িয়ে আছে। মাকড়সা বাসা বেঁধেছে ডাকবাক্সে। মরিচা ধীরে ধীরে গিলে নিচ্ছে ডাকবাক্সটি। ব্যবহার না থাকায় আগের মতো এখন আর প্রতিদিন খোলা হয় না ডাকবাক্সটি।
অরুয়াইল পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার তাপস কুমার গুপ্ত বলেন, ডাকবাক্সটি নিয়মিত খোলা হয় না। এক বছরেও একটা চিঠি পড়েনি বাক্সে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে ডাকবাক্সের ব্যবহার কমে গেছে। কারও কোনো চিঠি থাকলে তাঁদের হাতেই দিয়ে যান।
পোস্ট অফিসের রানার ছায়েদ মিয়া জানান, তিনি বদলি হয়ে ৮ মাস হয়েছে এখানে এসেছেন। এ সময়ে ডাকবাক্সে কোনো চিঠি পাননি তিনি।