বাড়ি থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর দেড় মাস পর সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছোট বোনকেও কয়েক দফা তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং রামপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবার।
ওই স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে কটিয়াদী উপজেলার নোয়াকান্দী গ্রামের মনির হোসেনের নেতৃত্বে তারেক, রবিউল ইসলাম এবং মুরশিদ মিয়াসহ ১০-১২ জন অস্ত্রসহ নিয়ে বাড়িতে এসে জোরপূর্বক তাঁর এসএসসি পরীক্ষার্থী বড় মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে মেয়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বখাটে রবিউল ইসলামের সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি তাঁর ছোট মেয়ে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করে বখাটে মনির হোসেন। কিছুদিন আগে বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে আসার পথে তাকে কুপ্রস্তাব দেয় মনির। বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ আসলে বখাটে মনির পালিয়ে যায়। এতে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৩ মার্চ রাতে দলবল নিয়ে বাড়িতে এসে ছোট মেয়েকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়।
এরপর থেকে প্রতিদিনই মনির ও তারেকসহ বখাটেরা মোটরসাইকেল নিয়ে ওই বাড়িতে এসে ছোট মেয়েটাকে একা পেলে উঠিয়ে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী বাবার। বখাটেদের উপর্যুপরি হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পরিবারের লোকজন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মনির হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম কাসেম বলেন, বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।