কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। গত রোববার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। ৪৫টি নমুনা থেকে এ সংক্রমণ শনাক্ত হয়, যা এক দিনের ব্যবধানে প্রায় ৪ গুণ বেশি। গত শনিবার থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আকুল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৭৭১ জন। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০৯ জন। চলতি মাসে করোনা শনাক্তের হার ৪০ শতাংশ। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ৫২ জন।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, সংক্রমণ বাড়লেও জনসাধারণের মধ্যে বাড়েনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আগ্রহ। অধিকাংশ মানুষই সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। পরছেন না মাস্ক। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার যদুবয়রা, চৌরঙ্গী, পান্টি এবং খেয়াঘাট ঘুরে দেখা গেছে, জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। সামাজিক দূরত্ব বজাই না রেখে মাস্ক ছাড়াই চলাচল করছেন অধিকাংশ মানুষ। এলাকার পল্লি চিকাৎসাকেন্দ্র ও ওষুধের দোকানগুলোতেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।
পান্টি বাজারে আসা ধর্মপাড়া কালাম মন্ডল বলেন, ‘আমি সব সময়ই মাস্ক পরি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু বাজারে আসা অধিকাংশ মানুষই মাস্ক পরেন না, স্বাস্থ্যবিধিও মানেন না। যে হারে করোনা বাড়ছে তাতে সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অপরিহার্য।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আকুল উদ্দিন বলেন, ২৪ ঘণ্টায় উপজেলায় ২৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে যা একদিনের ব্যবধানে প্রায় ৪ গুণ বেশি। চলতি মাসে শনাক্তের হার বেড়েছে ৪০ শতাংশ। নমুনা সংগ্রহের হার কম থাকায় শনাক্তের হার বেশি। তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ। কিন্তু এলাকাবাসীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা বাড়েনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে এলাকাবাসীকে সচেতন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে বারবার জানানো হচ্ছে।’
উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, ‘উপজেলাবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে সচেতন ও বাধ্য করতে উপজেলা প্রশাসন মাঠ পর্যায়ে থেকে কাজ করছে।’