যশোরের মনিরামপুরে সমাজসেবা কর্মী সাধনা অধিকারী ও কয়েকজন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার নতুন তালিকাভুক্তদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা চাওয়ার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন ওই সমাজসেবা কর্মী ও প্যানেল চেয়ারম্যান মুনসুরুর রহমান।
জানা গেছে, মনিরামপুরে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার আওতায় ১৫ হাজার ৪০৬ জনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে গেল বছর। যারমধ্যে খেদাপাড়া ইউনিয়নে রয়েছেন ৯৪২ জন।
এ ইউনিয়নে ভাতার বই বিতরণের সময় সমাজসেবা কর্মীর খরচের কথা বলে প্রতি উপকারভোগীর কাছ থেকে ২০০ করে টাকা চাওয়া হয়েছে। আঙুলের ছাপ দেওয়ার দিন এ টাকা দিতে হবে।
রঘুনাথপুর গ্রামের নূর ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমার বই দিয়েছে। তখন মুনসুর মেম্বর বলেছেন, ফিঙ্গার দেওয়ার দিন ২০০ টাকা সাথে করে আনতে।’
২০০ করে টাকা চাওয়ার বিষয় ইউপি সদস্য মুনসুরুর রহমান বলেন, ‘এসব টাকা আমি হাতে ধরি না। বই লেখালেখির জন্য সমাজসেবা কর্মী সাধনা অধিকারী টাকা দাবি করেছেন। এ জন্য ২০০ করে টাকা আনতে বলেছি।’
সমাজসেবা কর্মী সাধনা অধিকারী বলেন, ‘আঙুলের ছাপ দেওয়ার সময় কিছু কাগজপত্র লাগে। অনেকে এগুলো সঙ্গে আনে না। ওসব কাগজ করতে খরচ লাগবে। এজন্য টাকা চাইছি।’
খেদাপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহ বলেন, ‘আমি সব ইউপি সদস্যদের ডেকে ভাতার বই বাবদ কোনো টাকা না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’