এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় পাচারকালে জব্দকৃত ৫০ বস্তা ইউরিয়া সার নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা সার-বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বুধবার দুপুরে সার-বীজ মনিটরিং কমিটির সদস্যেদের উপস্থিতিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিলামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে ৩০ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যে জব্দ করা সার বিক্রি করা হয়।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জব্দ করা সার নিলামে বিক্রি করা হলেও পাচারের সঙ্গে জড়িত সার ডিলার আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অপরদিকে সার পাচারের ঘটনায় আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নছিমনে করে সরকারের ভর্তুকি দেওয়া ৫০ বস্তা ইউরিয়া সার আগৈলঝাড়া থেকে গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরে পাচার কো হচ্ছিল। গৌরনদী উপজেলার পশ্চিম বার্থী এলাকা থেকে থানা-পুলিশের উপস্থিতিতে পাচার করা সার জব্দ করেন উপজেলা প্রশাসন। অভিযোগ আছে আগৈলঝাড়ার বাশাইল বাজারের সারের ডিলার আবদুল জলিল হাওলাদারের ছেলে ফজলুল হক হাওলাদার এ চাল নিয়ে যাচ্ছিলেন।
ডিলার আবদুল জলিলের ছেলে ফজলুল হক হাওলাদার বলেন, ‘একটি বিশেষ মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। জব্দকৃত সারের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই।’
গৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ডিলারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।