কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় আগাম মুড়িকাঁটা পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। অনুকূল আবহাওয়া ও বাজার দর ভালো থাকলে এ বছর বেশি লাভ হবে বলে আশা এলাকার পেঁয়াজ চাষিদের। তবে সহজ শর্তে কৃষিঋণ প্রদান ও ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া পেঁয়াজ চাষে চাষিদের পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
স্থানীয় পেঁয়াজ চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভালো জাত এবং উন্নত মানের পেঁয়াজের জন্য খ্যাতি রয়েছে দৌলতপুরের। উপজেলায় প্রতি মৌসুমে মুড়িকাঁটা, হালি ও দানা জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়। এর মধ্যে আগাম জাত হলো মুড়িকাটা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ইতিমধ্যে এই জাতের পেঁয়াজের চাষ শুরু হয়েছে।
উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পেঁয়াজ চাষি মহিবুল জানান, এবার তার দুই বিঘা জমিতে তিনি মুড়িকাঁটা পেঁয়াজ চাষ করেছেন। এতে তাঁর বীজ কেনা থেকে পেঁয়াজ লাগানো পর্যন্ত ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আড়াই থেকে তিন মাসের মাথায় পেঁয়াজ তুলতে পারবেন বলে আশা তাঁর। বাজার দর ভালো থাকলে লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।
মথুরাপুর ইউনিয়নের আরেক পেঁয়াজ চাষি সাহাজুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া ভালো থাকলে পেঁয়াজে এবার ভালো ফলন হবে। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলে দেশি পেঁয়াজ ভালো দামে বিক্রি হবে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার নুরুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চাষিরা মুড়িকাঁটা পেঁয়াজ লাগানো শুরু করেছেন। আশা করছি এবার ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে এই পেঁয়াজ চাষ করা হবে। তা ছাড়া পেঁয়াজ চাষে চাষিদের পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’