হোম > ছাপা সংস্করণ

কত লম্বা ঘুষের হাত!

সম্পাদকীয়

টাকায় কি না হয়! এটা শুধু কথার কথা নয়। টাকা থাকলে অপরাধ করে রেহাই পাওয়া যায়, নিজে অন্যায় করে অন্যকে ফাঁসানো যায়, নির্দোষ মানুষকে জেলে পাঠানো যায়, আরও কত-কী! এতদিন বলা হতো, আইনের হাত অনেক লম্বা। এখন দেখা যাচ্ছে, টাকার হাতও কম লম্বা নয়; বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইনের হাতের চেয়েও টাকার হাত বেশি লম্বা দেখা যাচ্ছে। কারণ, আইনে জামিন পেয়েও কারাগার থেকে মুক্তিলাভের জন্য টাকা অর্থাৎ ঘুষ না দিলে উপায় নেই।

চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী ও স্বজনদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে নানা অবৈধ সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে সম্প্রতি আজকের পত্রিকায় একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। জামিনে মুক্ত আসামি ও বন্দীদের পার্সেল জমা, মোবাইল ফোনে কথা বলা, বন্দী বেচাকেনা, মোবাইল ফোন ব্যবহারসহ টাকার বিনিময়ে নানা অবৈধ সুবিধা দেওয়ার মতো অপরাধে জড়াচ্ছেন কারা কর্মকর্তা ও রক্ষীরা। ঘুষের টাকার ভাগ পান ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরাও।

প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সাবেক জেলার সোহেল রানার বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন, কারাগারের ভেতর অমিত মুহুরি হত্যা, আসামি পলায়নসহ নানা আলোচিত ঘটনার পর চট্টগ্রাম কারাগারের ভেতরে বেশ কয়েক মাস কড়াকড়ি থাকলেও আবার ঢিলেঢালা অবস্থা ফিরে এসেছে এবং অনিয়মই নিয়ম হয়ে উঠেছে।

আদালতের জামিন আদেশ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছালেও ঘুষ দিয়েই মুক্তি মিলেছে একাধিক ব্যক্তির। কারাগারে থাকা বন্দীদের জন্য স্বজনদের দেওয়া কাপড়চোপড়, শুকনো খাবার জমা রাখা হয় একটি শাখায়। সেখান থেকে পরে স্বজনদের পাঠানো পার্সেল বন্দীদের দেওয়া হয়। এ বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণে উৎকোচ নেওয়া হয়।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম কারাগারে নিয়মানুযায়ী বন্দীরা সপ্তাহে এক দিন স্বজনদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারেন। কিন্তু প্রতি পাঁচ মিনিট কথা বলার জন্য অসাধু কারারক্ষীরা ৫০০ টাকা নিয়ে থাকেন। কারা অভ্যন্তরে সরকারি মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও কিছু আসামি ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। মূলত চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে এসব মোবাইল ফোন।

কয়েকজন দাগি সন্ত্রাসীকে রাখা হয়েছে শেখ রাসেল ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডে থাকা একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী অন্য বন্দীদের মোবাইল ফোনে কথা বলার সুযোগ করে দেন। এর জন্য কারারক্ষীদের সঙ্গে যোগসাজশে বিকাশে টাকা লেনদেন করতেন তিনি। ভালো ওয়ার্ডে নেওয়া ও নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে অবস্থাপন্ন নতুন বন্দীদের স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করার অভিযোগও আছে। টাকা আদায়ের জন্য বন্দীদের নির্যাতনও করা হয়ে থাকে।

কারা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের উপমহাপরিদর্শক এ কে এম ফজলুল হক কারাগারে স্বচ্ছতা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সফলতা অর্জিত হয়েছে বলে দাবি করলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ঘুষ-বাণিজ্য অব্যাহতই আছে। ‘বাইরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট’ বা বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো নীতির দ্রুত অবসান হওয়া উচিত।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ