জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই জলাতঙ্কের টিকা। এতে চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ। কুকুরে কামড়ানো গ্রামের রোগীরা না বুঝেই অনেক সময় কবিরাজের শরণাপন্ন হন। এতে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে।
উপজেলার সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা হলেও সেখানে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক না থাকায় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। বাধ্য হয়ে কুকুরের কামড়ানো রোগীদের ছুটতে হচ্ছে ২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ।নয়ানগর ইউনিয়নের বুরুঙ্গা এলাকায় আবুল হোসেন বলেন, আমার ছোট ছেলেকে কুকুরে কামড় দিয়েছিল।
জামালপুর হাসপাতালে গিয়ে চার দিন ইনজেকশন দিয়ে এনেছি। সকালেই হাসপাতালে যেতে হয়েছে। মেলান্দহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা থাকলে এত কষ্ট করতে হতো না ।
ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নে পাঠানপাড়া এলাকার নাজির উদ্দিন বলেন, আমাকে একবার কুকুরে কামড় দিয়েছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠেই জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে গেছি। হাসপাতালে যখন চারজন কুকুরে কামড়ানো রোগী একত্রিত হয়। তখন এক ইনজেকশন ৪ জনকে দেওয়া হয়। রোগী না থাকলে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
সাকিব হাসান নামে একজন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যদি কুকুরে কামড়ানো রোগীদের ভ্যাকসিন দিত তাহলে এতটা হয়রানি হতো না।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরে কামড়ানো রোগীর প্রতিষেধকের সরবরাহ নেই। কারণ হচ্ছে, একটি ইনজেকশন ৪ জন কুকুরে কামড়ানো রোগীকে দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক সঙ্গে ৪ জন রোগী কখনোই হয় না। তাই শুধু মাত্র সদর হাসপাতালে কুকুরে কামড়ানো রোগীর প্রতিষেধক পাওয়া যায়। তাই তাদের জামালপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।