দিল্লির বায়ুদূষণের দায় শুধুমাত্র কৃষকদের কাঁধে চাপানো ঠিক হবে না। গতকাল বুধবার এমনটাই মন্তব্য করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা। তবে কৃষকদের আপাতত ফসলের নাড়া পোড়ানো বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেছেন তিনি। অন্যদিকে দূষণের কারণে রাজধানী দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্য হরিয়ানা, রাজস্থান এবং উত্তর প্রদেশে নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করেছে কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম)।
কৃষকদের দায়ী করা নিয়ে বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, সেভেন স্টার হোটেলে বসে কৃষকদের ওপর দায় ঠেলা সহজ। কিন্তু তারা কি কৃষকদের জমিপ্রতি আয়ের বিষয়টি ভেবে দেখেছেন?
বিরাজমান পরিস্থিতি সামাল দিতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সিএকিউএম। দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দিল্লির ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত ৬টি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকছে নির্মাণশিল্পও। আগামী রোববার পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মালবাহী গাড়ি দিল্লিতে প্রবেশ নিষেধ। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকছে স্কুল-কলেজও।