সারা দেশে ১৭ কোটির বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী রয়েছে। দেশে মোবাইল ফোন চাহিদার ৭০ শতাংশ এখন দেশেই তৈরি হয়। আমেরিকা সহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার রপ্তানি করা হচ্ছে। দেশের ৯৮ শতাংশ ভূখণ্ড দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনা হয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। গতকাল বুধবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের কম্পিউটার সিটি সেন্টারে (মাল্টিপ্ল্যান) আয়োজিত মুজিবশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মাসব্যাপী প্রযুক্তি পণ্য উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়াল যোগ দিয়ে এ কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশনে বাংলাদেশ উদাহরণ তৈরি করেছে। বাংলাদেশ নামের আগে যখন ডিজিটাল শব্দটা যুক্ত করা হয়, পৃথিবীতে আর কোনো দেশ তাদের নামের আগে ডিজিটাল শব্দটা যুক্ত করার সাহস দেখায়নি। আমাদের এক বছর পরে ব্রিটেন তাদের নামের আগে ডিজিটাল শব্দ যুক্ত করে, ছয় বছর পরে ভারত এবং ২০১৯ সালে পাকিস্তান ডিজিটাল পাকিস্তান কর্মসূচি ঘোষণা করে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ অনেক কাজই সহজ করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনাকালে কোনো কিছুই আমরা স্থবির হতে দিইনি, ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সবকিছু সচল রেখেছি। কারণ দেশে এখন ১৩ কোটি ইন্টারনেট কানেকটিভিটি আছে। আগামী ২০২২ সালের মধ্যে গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে যাবে ফাইভ জি। তৃতীয় সাবমেরিন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ, যা ২০২৪ সালের মধ্যে ব্যবহার করা যাবে। দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধুর স্যাটেলাইটও উৎক্ষেপণ হবে শিগগিরই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী মোরশেদ কামাল। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন কম্পিউটার সিটি সেন্টারের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৌফিক এহসান, কম্পিউটার সিটি সেন্টারের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম ওয়াহেদুজ্জামান, টোগি সার্ভিসের নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল মোল্লা, প্রযুক্তি পণ্য ব্যবসায়ী আব্দুল ফাত্তাসহ আরও অনেকে।