একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংসদ পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়েছিলেন রবিউল ইসলাম। কিন্তু সাড়া না মেলায় কিছু দিন পর নাভারণ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালান। সেখানেও সাড়া না পেয়ে অবশেষে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। গত ১১ নভেম্বরের ইউপি নির্বাচনে তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র আটটি।
রবিউল ইসলাম যশোরের ঝিকরগাছার নাভারণ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীকে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ ওয়ার্ডে ২৭৮০ ভোটারের মধ্যে ৮ জন তাঁকে ভোট দেন। নির্বাচনে আট ভোট পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নির্বাচনকে পর্চা নর্দমা বলে মন্তব্য করেন।
ভোটের আগে রবিউল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আমাদের মোড়ল গোষ্ঠি অনেক বড়। গোষ্ঠির লোকেরা ভোট দিলেই আমি পাশ। তবে পাশ-ফেল যাই হোক আগামী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে লড়ব।’
তবে ভোটে হেরে রবিউল ইসলাম তাঁর সেই সিদ্ধান্ত বদল করেছেন। এখন তিনি বলছেন, ‘নির্বাচন হলো পঁচা-নর্দমা। ওরা আমাকে নির্বাচন করতে দেবে না। এজন্য আমি পোলিং এজেন্টও দিইনি। নির্বাচনের আগেই ওরা আমাকে ডেকে বলেছে জামায়াত-বিএনপির কাউকে কেন্দ্রে যেতে দিবে না। আমার আত্মীয় স্বজন সব জামায়াত বিএনপি করে।’